পারলেন না নাঈম। মোহাম্মদ নাঈম পারলেন রাইলি রুশোর রেকর্ড ভাঙতে। বিপিএলের এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড ভাঙতে ৬৭ রান দরকার ছিল খুলনা টাইগার্সের ব্যাটসম্যানের। মিরপুরে কাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ১৯ রান করে আউট হয়েছেন খুলনা ওপেনার। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে তাঁর দল শেষ বলে হেরে গিয়ে বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। খুলনার শিরোপা-স্বপ্নের মতো নাঈমের রেকর্ড গড়ার স্বপ্নও তাতে উধাও হয়ে গেছে।

তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ৩৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা নাঈম শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবেই সম্ভবত শেষ করতে যাচ্ছেন এবারের বিপিএল। ৫১১ রান নিয়ে এবারের বিপিএল শেষ করেছেন নাঈম। রাইলি রুশো (২০১৮-১৯ মৌসুমে ৫৫৮) ও নাজমুল হোসেনের (২০২২-২৩ মৌসুমে ৫১৬) পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এক বিপিএলে ৫০০ রান করা নাঈমের নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঝরে পড়েছেন টুর্নামেন্ট থেকে।

ফাইনালে আগে শীর্ষ পাঁচে থাকাদের প্রথম চারজনের দলই বিদায় নিয়েছে। নাঈমের খুলনা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত টিকে থাকলেও অন্য তানজিদ হাসান (৪৮৫), এনামুল হক (৩৯২) ও জাকির হাসানের (৩৮৯) দল বিদায় নিয়েছে প্রথম পর্ব থেকেই।
ফাইনাল ওঠাদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচে আছেন শুধু চিটাগং কিংসের ইংলিশ ক্রিকেটার গ্রাহাম ক্লার্ক। তবে নাঈমকে পেছনে ফেলতে ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১২৫ রান করতে হবে ক্লার্ককে।


ক্লার্ক ছাড়া ফাইনালের দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষ দশে আছেন বরিশালের তামিম ইকবাল (৩৫৯) ও চিটাগংয়ের শামীম হোসেন (৩৫০)।

আরও পড়ুনমুশফিকের শেষ ওভারে নয়, খুলনা ম্যাচ ফসকেছে হোল্ডারের দুই বলে৫ ঘণ্টা আগেসাত দলের শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান

ফরচুন বরিশাল
৩৫৯, তামিম ইকবাল
৩১৫, ডেভিড ম্যালান
২৮০, তাওহিদ হৃদয়

চিটাগং কিংস
৩৮৭, গ্রাহাম ক্লার্ক
৩৫০, শামীম হোসেন
২৮৫, উসমান খান

খুলনা টাইগার্স
৫১১, মোহাম্মদ নাঈম
৩৫৫, মেহেদী হাসান মিরাজ
৩১৬, মাহিদুল ইসলাম

রংপুর রাইডার্স
৩০৬, সাইফ হাসান
৩০৫, ইফতিখার আহমেদ
২৯৮, খুশদিল শাহ

আরও পড়ুনদৌড়াতে পারবেন না, তবু আলিসের ওপর ভরসা ছিল চিটাগংয়ের১৩ ঘণ্টা আগে

দুর্বার রাজশাহী
৩৯২, এনামুল হক
৩৩৬, ইয়াসির আলী
২৯৩, রায়ান বার্ল

ঢাকা ক্যাপিটালস
৪৮৫, তানজিদ হাসান
৩৬৮, লিটন দাস
২১২, থিসারা পেরেরা

সিলেট স্ট্রাইকার্স
৩৮৯, জাকির হাসান
২৮৬, রনি তালুকদার
২৪১, জাকের আলী

আরও পড়ুনশেষ বলে ৪ মেরে ফাইনালে চিটাগং, খুলনার বিদায়১৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন র র কর ড ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ভয় দেখালে আলোচনা নয়, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ইরান

ইরান আজ সোমবার বলেছে, ‘ভয় দেখানো’ হলে দেশটি কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেবে না।

এর আগে ইরানের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরাককে কিছু ছাড় দেওয়ার সুযোগ বাতিল করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়ের আওতায় নিষেধাজ্ঞার পরও ইরাক প্রতিবেশী দেশটি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারত।

বিশ্লেষকদের মতে, তেহরানকে আরও বেশি চাপ দেওয়ার কৌশলের অংশ হিসেবে ইরাকের জন্য বিশেষ ছাড় বাতিল করেছেন ট্রাম্প। এর পরই ইরান জানাল, ভয় দেখালে দেশটি পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনায় বসবে না।  

জাতিসংঘে ইরানের মিশন গতকাল রোববার ইঙ্গিত দেয়, পারমাণবিক কর্মসূচির সম্ভাব্য সামরিকীকরণ সম্পর্কে মার্কিন উদ্বেগ দূর করতে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত থাকতে পারে তেহরান। যদিও কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ হবে না।

এর পরদিন, অর্থাৎ আজ সোমবার ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক এমন আলোচনার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বরাবরই পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সামরিকীকরণ বলে কিছুই নেই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরঘাচি বলেন, ‘চাপপ্রয়োগ আর ভয় দেখানোর পর আমরা আলোচনা করব না। এটা কখনোই বিবেচনা করা হবে না। যা–ই হোক না কেন।’

এ বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহাল করেন। বিশেষ করে তেল শিল্পকে বিপর্যয়ে ফেলার লক্ষ্যে নতুন করে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার জানায়, তেহরানের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞায় ইরাকের ছাড় পাওয়ার বিষয়টি নতুন করে নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইরান যাতে অর্থনৈতিক বা আর্থিকভাবে কোনো ধরনের স্বস্তি না পায়, আমাদের পক্ষ থেকে সেটা নিশ্চিত করা হবে।

ইরাকের গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদার এক–তৃতীয়াংশ জোগান দেয় প্রতিবেশী ইরান। এর ফলে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা তেহরান যথেষ্ট পরিমাণ আয়ের সুযোগ পায়।

২০১৮ সালে ইরাককে এই ছাড় দেওয়া হয়েছিল। একই সময়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে তেহরানের সঙ্গে সই হওয়া পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র গতকাল বলেন, ইরানের জ্বালানি উৎসের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে ইরাককে যত দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসতে হবে।

ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ইরানের পারমাণবিক হুমকি বন্ধ করা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রাশ টানা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) সর্বোচ্চ চাপ দেওয়ার কৌশল বেছে নিয়েছেন।

আরও পড়ুনইরানের ওপর ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ আবার ব্যর্থ হবে?২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনপারমাণবিক চুক্তি আলোচনায় ট্রাম্পের কোনো চিঠি পায়নি ইরান০৮ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ