দাম বাড়ায় ৪০ হাজার ডলারের ডিম চুরি
Published: 6th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দাম বাড়ায় পেনসিলভেনিয়ায় এক ডিস্ট্রিবিউশন ট্রেলারের পেছন থেকে প্রায় ১ লাখ ডিম চুরির ঘটনা ঘটেছে। পেনসিলভেনিয়া স্টেট পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রাঙ্কলিন কাউন্টিতে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টায় পিট অ্যান্ড গেরিস অর্গানিকসের মালিকানাধীন একটি ট্রাক থেকে এই ডিম চুরি হয়।
চুরি হওয়া ডিমের আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার ডলার।
মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, ডিম যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম সস্তা খাদ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এর দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এক ডজন গ্রেড-এ ডিমের গড় মূল্য ৬.
ডিমের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বড় কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে বার্ড ফ্লুর। ক্যালিফোর্নিয়ার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘এগস আনলিমিটেড’-এর তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৬ মিলিয়ন মুরগি-হাঁস জাতীয় পাখি মারা গেছে এতে মুরগির সংখ্যা কমপক্ষে ৭% কমেছে। যার ফলে ডিমের উৎপাদন ও গুণগত মানও প্রভাবিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছুটির মৌসুমে ডিমের চাহিদা বাড়ার কারণেও দাম বেড়েছে, যা আগামী ইস্টার পর্যন্ত চলতে পারে।
এদিকে, ডিম চুরির ঘটনায় পিট অ্যান্ড গেরিস অর্গানিকস জানিয়েছে, তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং দ্রুত তদন্ত শেষ করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘ট্রাম্প একজন উন্মাদ’: যুক্তরাষ্ট্রের গাজা দখলের পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনির প্রতিক্রিয়া
লাঠিতে ভর দিয়ে ৭২ বছর বয়সী ফাতি আবু আল-সাঈদ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের আল-কাতিবা মহল্লায় ধ্বংসস্তূপে একাকার হয়ে যাওয়া রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজার উপকূলীয় আল-মাওয়াসি এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় খান ইউনিসে ফেরেন তিনি। এর পর থেকে এভাবে হাঁটা তাঁর নিত্যদিনের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টানা ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমা হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের ওপর সাবধানে পা ফেলে হাতের লাঠি উঁচিয়ে বিধ্বস্ত একটি বাড়ির দিকে ইঙ্গিত করলেন সাঈদ। বললেন, ‘আপনি কি ওই মূল্যহীন ধ্বংসস্তূপ দেখতে পাচ্ছেন? ওটা যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির ভেতরে থাকা সবকিছুর চেয়ে বেশি মূল্যবান।’
আবু আল-সাঈদের কাছে ফিলিস্তিনিদের গণহারে ঘরছাড়া করার বিষয়টি নতুন নয়। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় তাঁর বাবাকে বন্দরনগরী জাফা থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়েছিল। নগরীটি এখন ইসরায়েলের অংশ। তাঁর মায়ের পরিবারকে কাছের সারাফান্দ গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। তিনি সেই প্রথম বিপর্যয় ‘নাকবা’র গল্প শুনে বড় হয়েছেন এবং এখন অন্য একটি বিপর্যয়ের মধ্যে বেঁচে আছেন।আবু আল–সাঈদের ৫০ সন্তান ও নাতি-নাতনির কয়েকজনসহ একদল শিশু তাঁর শ্রোতা। ভারী বৃষ্টি ও বাতাসের পূর্বাভাসেও বিচলিত না হয়ে তারা মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথা শোনে। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি শিশু যোগ দেয়। বাস্তুচ্যুত এসব শিশুর পরিবারও নিজেদের এলাকায় ফিরেছে। কিন্তু ফিরে ঘরবাড়ি অক্ষত পায়নি। একসময়ের সাজানো-গোছানো বাড়িঘরগুলো এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। পরিবারগুলো এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই নতুন করে জীবন শুরুর চেষ্টা করছে।
প্রতিদিন সকালে সাঈদ তাঁদের জীবন আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু গাজা দখল করে নেওয়া প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক মন্তব্য সাঈদের জন্য নতুন করে ব্যঙ্গাত্মক কথাবার্তার খোরাক হয়েছে। ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে গাজায় ‘মধ্যপ্রাচ্যের সমুদ্রসৈকত’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর রাফায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা হাঁটছেন