দেশের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ। ভক্ত ও দর্শকের পাশাপাশি বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই প্রায়ই এই তারকার সৌন্দর্যে মুগ্ধতা প্রকাশ করে থাকেন। অনেকে আবার তাঁকে মডেল-অভিনেত্রী হিসেবে আদর্শ মানেন। টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক জাহিদ হাসানের সঙ্গে সংসারজীবন এই তারকার। তাঁদের সংসারে রয়েছে পুষ্পিতা ও পূর্ণ নামের দুই সন্তান। সম্পতি এই অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক।

১৯৮৯ সালে প্রথম মডেলিংয়ে পা রাখেন মৌ। একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনের জন্য সে সময় তাঁর সঙ্গে রেকর্ড ১ লাখ টাকা পারিশ্রমিকের চুক্তি করা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনিই বাংলাদেশের সর্বাধিক পারিশ্রমিক পাওয়া নারী মডেল।

৩৫ বছর ধরে দেশের শীর্ষ মডেল হিসেবে রাজত্ব চলছে মৌয়ের। মডেল পরিচয়ের পাশাপাশি মৌ একজন গুণী নৃত্যশিল্পী। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে গানের অনুশীলনও করতেন তিনি। গানের চর্চা চালিয়ে গেলে হয়তো আজ সংগীতশিল্পী পরিচয়েও তাঁকে পাওয়া যেত। তাঁর বাবা প্রয়াত সাইফুল ইসলাম ছিলেন জনপ্রিয় একজন সংগীতশিল্পী। আঁকাবাঁকা, বাদশা, আপনজনসহ বেশ কিছু সিনেমাতে প্লেব্যাকও করেছিলেন তিনি।

১৯৯৫ সালের ৩ জুলাই প্রচারিত হয়েছিল সাদিয়া ইসলাম মৌয়ের প্রথম নাটক ‘অভিমানে অনুভবে’। যদিও অনেকটা জোর করেই তাঁকে অভিনয়ে রাজি করানো হয়েছিল।

নৃত্যশিল্পী হিসেবেই সাদিয়া ইসলাম মৌ বেশি পরিচিত। তবে সময়–সুযোগ হলে মাঝেমধ্যে নাটকেও অভিনয় করেন। এসব নাটকের বেশির ভাগ বিশেষ দিবস উপলক্ষে প্রচারিত হয়ে থাকে।

ঢালিউডের তারকা-নির্মাতাদের অনেকে মৌকে চলচ্চিত্রের নায়িকা বানাতে চেয়েছিলেন। বলিউডের ‘সাজান’ সিনেমার রিমেক ‘স্বজন’ সিনেমাতেও তিনি প্রস্তাব পেয়েছিলেন। সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে মৌ বলেন, গল্পপ্রধান, অভিনয় করার মতো চরিত্র পেলে অবশ্যই সিনেমায় কাজ করব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স দ য় ইসল ম ম ইসল ম ম

এছাড়াও পড়ুন:

যুবকের সৎ কাজ এবং পাথর সরে যাওয়া

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) বরাতে একটি হাদিস আছে।

নবী (সা.) বলেছেন, একবার তিনজন লোক পথ দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে তারা একটি পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। হঠাৎ পাহাড় থেকে এক খণ্ড পাথর পড়ে তাদের গুহার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তারা একে অপরকে বলল, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা নিজেদের কিছু সৎকাজের কথা চিন্তা করে বের করো। তাঁর অছিলা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হলে হয়তো আল্লাহ তোমাদের ওপর হতে পাথরটি সরিয়ে দেবেন।

তাদের একজন বলতে লাগল, হে আল্লাহ! আমার আব্বা-আম্মা খুব বৃদ্ধ ছিলেন। আর আমার ছোট ছোট সন্তানও ছিল। আমি তাদের ভরণ-পোষণের জন্য পশু পালন করতাম। সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফিরতাম তখন দুধ দোহন করে আমার সন্তানদের আগে আমার আব্বা-আম্মাকে পান করাতাম। একদিন আমার ফিরতে দেরি হয়ে গেল। সন্ধ্যা হওয়ার আগে আসতে পারলাম না। এসে দেখি তারা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন আমি দুধ দোহন করলাম, প্রতিদিন যেমন করি। তারপর আমি তাঁদের শিয়রে (দুধ নিয়ে) দাঁড়িয়ে রইলাম। তাদের জাগাতে লাগল না।

আরও পড়ুনসুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াতের গুরুত্ব১৮ অক্টোবর ২০২৩

আবার তাদের আগে আমার বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোও সংগত মনে হলো না। বাচ্চারা অবশ্য দুধের জন্য আমার পায়ের কাছে পড়ে কান্নাকাটি করছিল। এভাবে ভোর হয়ে গেল। হে আল্লাহ! আপনি জানেন, আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্যই এ কাজটি করে থাকি, তাহলে আপনি আমাদের সামনে থেকে পাথরটা খানিক সরিয়ে দিন, যাতে আমরা আসমানটা দেখতে পাই।

তখন আল্লাহ পাথরটাকে সামান্য সরিয়ে দিলেন। তাতে তারা আসমান দেখতে পেল।

দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমার এক চাচাতো বোন ছিল। পুরুষেরা যেভাবে নারীদের ভালোবাসে, আমি তাকে তার চেয়ে বেশি ভালোবাসতাম। একদিন আমি তার কাছে বাসনা প্রকাশ করলাম (অর্থাৎ, কুপ্রস্তাব দিলাম)। কিন্তু তার জন্য এক শ দিনার না নিয়ে আসা পর্যন্ত সে সম্মত হলো না। চেষ্টা করে আমি তা জোগাড় করলাম। যখন আমি তার পদযুগলের মাঝখানে বসলাম। তখন সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! আল্লাহকে ভয় কর। অন্যায়ভাবে আমার সতীত্ব হরণ করো না। তখন আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। হে আল্লাহ! আপনি জানেন, আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্য এ কাজটি করে থাকি, তাহলে আপনি আমাদের জন্য পাথরটা সরিয়ে দিন।

তখন পাথরটা কিছুটা সরে গেল।

আরও পড়ুনকোরআনের আলোকে জান্নাতে যাওয়ার জন্য কিছু ইঙ্গিত১৯ অক্টোবর ২০২৩

তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমি এক ফারাক চালের বিনিময়ে একজন শ্রমিক নিয়োগ করেছিলাম। যখন সে তার কাজ শেষ করে আমাকে বলল, আমার পাওনা দাও। আমি তাকে পাওনা দিতে গেলে সে তা নিল না। আমি তা দিয়ে কৃষি কাজ করতে লাগলাম। তা দিয়ে গরু ও তার রাখাল জমা করলাম। বেশ কিছু দিন পর সে আমার কাছে এসে বলল, আল্লাহকে ভয় কর (আমার মজুরি দাও)। আমি বললাম, এসব গরু আর রাখাল নিয়ে নাও। সে বলল, আল্লাহকে ভয় কর, আমার সঙ্গে ঠাট্টা কোরো না। আমি বললাম, আমি তোমার সঙ্গে ঠাট্টা করছি না, এগুলো নিয়ে নাও। তখন সে তা নিয়ে গেল। হে আল্লাহ! আপনি জানেন, যদি আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজটি করে থাকি, তাহলে পাথরের বাকি অংশটুকু সরিয়ে দিন।

তখন আল্লাহ পাথরটা সরিয়ে দিলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৩৩৩)

আরও পড়ুনসুরা লোকমানের উপদেশ বদলে দিতে পারে জীবনে চলার ধরন২০ অক্টোবর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৮ বছরেও আমি পরিবারের মন জয় করতে পারিনি: পপি
  • ২৮ বছরেও আমি পরিবারের মন জয় করতে পারিনি: চিত্রনায়িকা পপি
  • ২৮ বছরে আমি পরিবারের মন জয় করতে পারিনি: পপি
  • চার বিভাগকে প্রদেশ করার প্রস্তাব
  • দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অ্যানালগ শিক্ষা
  • নজরকাড়া লুকে সুহানা খান
  • বন্ধুত্বের টানে পার্বতীপুরে এলেন তাইওয়ানের তরুণ
  • দুই শিশুর মারামারি, একজন নিহত
  • যুবকের সৎ কাজ এবং পাথর সরে যাওয়া