ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩টি হল থেকে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম মুছে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার রাতের বিভিন্ন সময়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এর আগে রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা ম্যুরালে ক্ষমতাচ্যুত সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার পোস্টার ঝুলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে জুতা নিক্ষেপ করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত শেখ হাসিনার পোস্টারে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি ফ্যাসিবাদের মূল নায়ক হাসিনা ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা দেন। তাই হাসিনার ঘৃণাসূচক প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘শেখ রাসেল হলের’ সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে ‘শেখ পরিবারের’ নামে কোনো স্থাপনা থাকবে না জানিয়ে ঘোষণা দেন তাঁরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভাষণ না জুতা, জুতা জুতা’; ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘দালালি আর করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না’; ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সবুজ রঙের কালিতে ঢাকা হয়েছে শেখ রাসেল হলের নামের একাংশ। আজ সকালে তোলা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাকশ্রমিক নিহত, প্রতিবাদে অবরোধ, যানজট

রাজধানী ঢাকার বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নারী পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক নারী পোশাকশ্রমিক। প্রতিবাদে দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ওই এলাকার সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে বনানী, মহাখালী ও গুলশান এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছে।  সকাল সাড়ে আটটার দিকে বনানী, মহাখালী ও গুলশানে যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। মহাখালী ও বনানীতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও এ সময় তীব্র যানজট হয়।  

নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম মিনারা আক্তার। আহত আরেক পোশাকশ্রমিকের নাম সুমাইয়া আক্তার। তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কোন গাড়ি কীভাবে তাঁদের চাপা দিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।  

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  রাসেল সরকার প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর থেকেই শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ