শহীদ পরিবারের স্বজনদের অবরোধ, শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ
Published: 6th, February 2025 GMT
ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের স্বজনেরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাঁরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এতে ওই এলাকা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং আশপাশের রাস্তায়ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শহীদ পরিবারের স্বজনেরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন দাবি জানান।
শাহবাগ মোড় অবরোধের কারণে আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
কুমেক হাসপাতালের ৫ তলা থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) সার্জারি বিভাগের পঞ্চম তলার বারান্দার বেড থেকে নিচে পড়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওই রোগীর নাম গনি মিয়া (৫০)। তিনি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গনি মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর বেগম জানান, হাতের সমস্যায় এক সপ্তাহ আগে স্বামী নিয়ে হাসপাতালে আসি। অপারেশন করার পর অনেক চেষ্টা করার পরও বেড না পেয়ে সার্জারি বিভাগের কর্মচারি (জমাদার) বিল্লাল হোসেনকে ৫০০ টাকার দিলে বারান্দায় দেয়ালের পাশে সিট দেওয়া হয়। যেখানে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। রাতে পাশে হেলান দিতে গিয়ে নিচে পড়ে তিনি (স্বামী) মারা যান। নিচতলায় থাকা হাসপাতালের কর্মচারিরা বলেন, রাতে হঠাৎ তারা একটি বিকট শব্দ শোনার পর সেখানে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় যায়। জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর হাসপাতালের লোকজন রোগীর বেডটি সরিয়ে নেন। বিল্লাল হোসেনও সটকে পড়েন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা শুনেছি, তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান আজ শনিবার সমকালকে বলেন, প্রতিদিন ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকেন। এতে বারান্দা ও ফ্লোরেও এক্সটা বেড দিতে হয়। কিন্ত বারান্দায় রোগীর স্বজনদের সামনে তার নিচে পড়ে গিয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি দু:খজনক। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আমরা আরও সতর্ক থাকবো এবং বারান্দা সুরক্ষিত করা হবে। জমাদার বিল্লাল কর্তৃক রোগীর স্বজনদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে বেড দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।