কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।

তিনি জানান, গোপন তথ্যে জানা যায় যে, বুধবার রাত তিনটার দিকে টেকনাফের নোয়াপাড়া নাফ নদীর আদমের জোড়া এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে। বিজিবি নাফ নদীতে অজ্ঞাত পাচারকারীদের আনাগোনা লক্ষ্য করে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। ৪ থেকে ৫ জন ব্যক্তি নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে কেওড়া জঙ্গলের ভেতর দিয়ে মাদক পাচার করে। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা জঙ্গল দিয়ে নৌপথে সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

বিজিবি সদস্যরা সেখানে তল্লাশি করে মাটিতে পুঁতে রাখা চারটি বস্তা উদ্ধার করে। বস্তার ভেতর থেকে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মাদক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

প্রায় ২৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গ্রেপ্তার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে দুদক। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রিমান্ড শুনানির জন্য বেলা ১২টায় এজলাসে তোলা হয় তাকে। 

আসামি পক্ষে বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতা ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা খান ও বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতা খোরশেদ আলম তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। 

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুরের এ আদেশ দেন। এর আগে বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ। ওইদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন। ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে ৪ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের নামে ৭২ কোটি ৮৫ লাখ ৩ হাজার ৫২৮ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এর বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭ টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৯০৮ টাকা। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ