সরকার পতনের পরই শাইনপুকুরের কর্মকর্তারা ক্রিকেটারদের অন্য কোনো দল খুঁজে নিতে বলেছিলেন। কেউ কেউ ভালো দল পেলেও সম্মানী পাচ্ছেন কম। শাইনপুকুরের চেয়েও খারাপ অবস্থা প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটারদের। ১৯  ক্রিকেটারকে চার দিন আগে নতুন দল খুঁজে নিতে বলেছে দলটির ম্যানেজমেন্ট। এমন না যে আর্থিক সংকটের কারণে দল বানাচ্ছে না প্রাইম ব্যাংক। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন কোচিং স্টাফ নিজেদের মতো করে দল সাজাবে। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে আগে থেকে প্রিমিয়ার লিগে খেলার মৌখিক চুক্তি করায় তারকারা বিকল্প দলের সন্ধান করেননি। ফলে হঠাৎ করে না করে দেওয়ায় বিপদে পড়েছেন নাঈম হাসানের মতো ক্রিকেটাররা। 

জানা গেছে, আবাহনীও তারকা ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেবে। এই সুযোগে মোহামেডান ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ তারকা ক্রিকেটার দিয়ে দল গড়ার সুযোগ পেয়েছে। নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিম হাসান সাকিবদের রূপগঞ্জে নেওয়া হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে গাজী গ্রুপের অর্থায়নে থাকা দলগুলোও বিপর্যয়ের মুখে। এর প্রভাব ক্রিকেটারদের রুটিরুজিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন বিসিবি কর্মকর্তারা। 

রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও বিএনপি ঘরানার ক্লাবগুলো এখনও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি। পৃষ্ঠপোষকরাও আগের  মতো সাড়া দিচ্ছেন না বলে জানান আবাহনীর ক্রিকেট কর্মকর্তারা। এই পরিস্থিতিতে প্রাইম ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক নতুন করে দল গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এলোমেলো হয়ে পড়েছে ক্রিকেটারদের দল বদলের বাজার। 

এ নিয়ে নাঈম হাসান বলেন, ‘সালাউদ্দিন স্যার আমাদের ১৯ ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। স্যার থাকলে হয়তো সমস্যা হতো না। হঠাৎ করে না করে দেওয়ায় সমস্যা হয়ে গেছে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে অবসরে স্টয়নিস

হঠাৎ করেই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা থাকলেও তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।  

৩৫ বছর বয়সী স্টয়নিস এখন থেকে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মনোযোগ দেবেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭১ ম্যাচে ২৬.৬৯ গড়ে ১,৪৯৫ রান করেছেন তিনি। তার সেরা ইনিংস ছিল ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১৪৬ রান। পাশাপাশি বল হাতে ৪৩.১২ গড়ে ৪৮ উইকেট নিয়েছেন।  

অবসর ঘোষণায় স্টয়নিস বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলা আমার জন্য অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা ছিল। দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা ছিল গর্বের, যা আমি সারাজীবন মনে রাখবো। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে মনে করি এখনই সরে দাঁড়ানোর সঠিক সময়। আমি আমার ক্যারিয়ারের পরবর্তী অধ্যায়ে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে চাই।

স্টয়নিস আরও বলেন, অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের (অস্ট্রেলিয়ার কোচ) সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। তার সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। পাকিস্তানে দলের প্রতি আমার সমর্থন থাকবে।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে ছিলেন স্টয়নিস। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখান। তবে বিশ্বকাপের পর মাত্র একটি ওয়ানডে খেলেছেন, সেটিও পাকিস্তানের বিপক্ষে। গেল বছর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলেও ক্যামেরন গ্রিনের অনুপস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ পেয়েছিলেন।  

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড স্টয়নিসের বিদায়ে প্রশংসা করে বলেন, গত এক দশকে তিনি আমাদের ওয়ানডে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। শুধু দুর্দান্ত খেলোয়াড়ই নন, ড্রেসিং রুমেও তার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বগুণ অসাধারণ। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার ও অর্জনকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে বিদায় জানাই। ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলেও স্টয়নিস এখন থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ