ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা খালি করতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির যেকোনো প্রস্তাবকে জাতিগত নির্মূল ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে মালয়েশিয়া।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে জানানোর পর গতকাল বুধবার এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মাতৃভূমি থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানো বা বাস্তুচ্যুতির যেকোনো প্রস্তাবের শক্ত বিরোধিতা করছে মালয়েশিয়া। এমন অমানবিক কর্মকাণ্ড জাতিগত নির্মূল এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের একাধিক সনদের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরও পড়ুনগাজাকে দখলে নেওয়ার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় কী আছে২২ ঘণ্টা আগে

মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে মালয়েশিয়া।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাত নিরসনে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে কথা বলছে কুয়ালালামপুর। ইসরায়েলের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন। তবে সংগঠনটির সামরিক শাখার সঙ্গে মালয়েশিয়ার কোনো সংযোগ নেই।

আরও পড়ুনউদ্ধার অভিযান শুরুর পর গাজায় নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬২ হাজারে০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এদিকে মালয়েশিয়ার প্রতিবেশী ও বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া গতকাল বুধবার জানিয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি কিংবা জনমিতির পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছে জাকার্তা।

আরও পড়ুনফিলিস্তিন সংকট: দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান নিয়ে আলোচনার কথা বললেন ট্রাম্প২৮ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় দুই মাসে ২১৩ শ্রমিকের মৃত্যু

চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে পরিবহন খাতে। এ ছাড়াও নির্মাণ খাতে ৭ জন ও পোশাক খাতে ৩ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এই দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে আহত হয়েছেন ১৭০ জন।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে উল্লিখিত তিনটি খাতের বাইরে অন্যান্য খাতে ২১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময়ে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন ৭০ জন পরিবহন খাতের, ১৮ জন নির্মাণ খাতের এবং ১২ জন পোশাক খাতের। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্যান্য খাতের ৭০ জন শ্রমিক। জাতীয় দৈনিকগুলোয় প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বিলস এ জরিপ পরিচালনা করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক স্মৃতি দিবস পালিত হয়। যেখানে কর্মক্ষেত্রে নিহত, পঙ্গু, আহত বা অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। বাংলাদেশেও গতকাল দিবসটি পালিত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ