জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা গণহত্যার বিচার ও সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে তারা এই অবরোধ করেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধরণ জনগণ। 

এসময় তারা শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করারও আহ্বান জানান।

পরিবারগুলোর অভিযোগ, তারা গত কয়েক মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করা চেষ্টা করে আসছেন, তবে তাদের সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। 

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— প্রতিটি হত্যার বিচারের লক্ষ্যে আসামিদের ১০ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে হবে; শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে; শহীদ পরিবারের দ্রুত পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া শহীদ পরিবারের ন্যায্য সম্মানি শহীদ পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রদান করতে হবে; শহীদ পরিবারের মাসিক সম্মানীর দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে এবং শহীদদের বীরের মর্যাদা দিতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

হজযাত্রীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিল সৌদি আরব

হজযাত্রীদের নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। চলতি বছরে হজের উদ্দেশে যেসব যাত্রী  বৈধ নথি বা পারমিট ছাড়া সৌদিতে যাবেন, তাদেরকে থাকার জায়গা না দিতে মক্কার সব হোটেল, মোটেল, রেস্টহাউস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। সৌদি আরবের পর্যটন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। খবর গালফ নিউজের।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হবে। মেয়াদ শেষ হবে হজ সমাপ্ত হওয়ার পর। নির্দেশ পালন হচ্ছে কি না, যাচাই করতে মক্কার আবাসিক এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহল দেবেন সৌদির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এতে আরও বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা ও হজের পবিত্রতার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মক্কার হোটেল-মোটেল-রেস্টহাউসের মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নতুন এই নিয়ম মেনে চলতে আদেশ দিয়েছে সরকার। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি সরকারি আদেশ নাম মানার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।

প্রতি বছর হজের মৌসুমে লাখ লাখ মুসল্লি হজ করতে সৌদি আসেন। তবে তাদের সবাই যে বৈধভাবে আসেন তা নয়। অনেকেই প্রয়োজনীয় নথি ব্যতীত অবৈধভাবে প্রবেশ করেন সৌদিতে। তাদের একটি অংশ আবার স্থায়ীভাবে সেখানেই থেকে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই নথিবিহীন অভিবাসীদের ব্যাপারে কঠোর নীতি নিয়েছে সৌদি আরব। অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির সরকার। যেসব উমরাহযাত্রীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদেরকে আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সৌদি ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ