Samakal:
2025-04-09@22:29:03 GMT

ইউরিক অ্যাসিড কমাতে উপকারী ৩ ফল

Published: 6th, February 2025 GMT

ইউরিক অ্যাসিড কমাতে উপকারী ৩ ফল

আজকাল সবার মধ্যেই ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এর ফলে শরীরে ইউরিক অ্য়াসিডের প্রভাবও পড়ছে । শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের প্রবণতা বেড়ে গেলে পায়ের তলায়, হাঁটুতে, কনুইয়ের ব্যথা শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে কারও কারও পায়ের পাতা ফুলেও যায়। আর এর থেকেই শুরু হয় বাত বা আর্থারাইটিসের। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাথমিক অবস্থায় যদি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে এসব সমস্যা কমানো যায়। তা না হলে সমস্যা আরও বাড়বে। শরীরে ইউরিক অ্য়াসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনি ও হৃদরোগজনিত নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। 

শরীরে ইউরিক অ্য়াসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে পালং শাক, টমেটো, মসুরের ডাল, মাছের তেল, কফি, কেক এসব খাবার থেকে দূর থাকতে হবে। তবে তিনটা ফল আছে যা নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেমন-

চেরি : চেরির মধ্য়ে অতিমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এর ফলে শরীরের ব্যথা, বেদনা দূর করে। শুধু তাই নয়, ইউরিক অ্যাসিড কমাতেওে উপকারী এই ফল।

লেবু :শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়লে ইউরিক অ্য়াসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন- কমলালেবু, পাতি লেবু, মোসাম্বি রাখুন। 

আপেল: শুধু ভিটামিন সি নয়, ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ কার্যকর ভিটামিন এ-ও। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আপেল রাখুন। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ রয়েছে। প্রত্যেকদিন একটা করে আপেল খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর ক অ য স ড ইউর ক অ য স ড ইউর ক অ য় স ড

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আট মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১১২৪ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের আট মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেমিট্যান্স এসেছে ৯২ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ১২৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৯ হাজার ৭২৮ টাকা। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে গত আগস্ট মাসে—১৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চলতি অর্থবছরে জনশক্তি রপ্তানিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নবম স্থানে আছে বলে জানিয়েছে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস।

সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রবাসে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয় আশির দশকে। নব্বইয়ের দশকে বিদেশগামীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ভর করে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। জেলার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন প্রবাসীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তের পর অনেকে জেলে গেছেন বা এলাকা ছেড়েছেন। ফলে, হুন্ডি মার্কেট এখন আগের মতো নেই। হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা কমেছে। তাই, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসছে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার, আগস্ট মাসে ১৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার, অক্টোবরে ১১ মিলিয়ন ডলার, নভেম্বরে ৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, ডিসেম্বরে ১৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ২০ লাখ ডলার। 

আরো জানা গেছে, গত চার অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে—১১৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০২ মিলিয়ন ডলার, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৯১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

জেলা কর্মস্থান ও জনশক্তি অফিসের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ জন বিদেশে গেছেন। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আখলাক-উজ-জামান জানিয়েছেন, এ জেলা থেকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৮৩৭ জন ও ফেব্রুয়ারিতে ৪৪০ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ। বিশ্ববাজারের চাহিদার ভিত্তিতে যথাযথ কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং সুষ্ঠু ও সুসংহত অভিবাসন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কর্মপ্রত্যাশীদের নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকা/শিয়াম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁপাইনবাবগঞ্জে আট মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১১২৪ কোটি টাকা