শেষ মুহূর্তের গোলে স্প‌্যানিশ কোপা ডেল রের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তরুণ তুর্কি গঞ্জালো গার্সিয়ার গোলে লোকাল প্রতিদ্বন্দ্বী লেগানেসকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। বাকি দুটি গোল করেন লুকা মদ্রিচ ও এন্ড্রিক।

এদিন ম‌্যাচের ১৮ মিনিটেই লিড নেয় রিয়াল। এ সময় রদ্রিগোর বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জালে জড়ান মদ্রিচ। ২৫ মিনিটের মাথায় ব‌্যবধান দ্বিগুণ করেন এন্ড্রিক।

তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে ব‌্যবধান কমায় লেগানেস। ম‌্যাচের ৩৯ মিনিটে রিয়ালের জ‌্যাকোব রামন বক্সের মধ‌্যে হ‌্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় তারা। পেনাল্টি থেকে হুয়ান ক্রুজ গোল করেন।

আরো পড়ুন:

ম্যানসিটির সামনে রিয়াল: চ্যাম্পিয়নস লিগ প্লে-অফ

চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৮ ম্যাচের মহারণ, দলগুলোর শেষ সমীকরণ

বিরতি থেকে ফিরে সমতা ফেরায় লেগানেস। আবারও গোল করেন হুয়ান। তাকে গোলে সহায়তা করেন ডার্কো ব্রাসানাক। এই সমতা নিয়ে ম‌্যাচ চলে যায় ৯০ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গার্সিয়ার গোলে শেষ চারে জায়গা করে নেয় কার্লো আনচেলোত্তির শিষ‌্যরা। এ সময় ব্রাহিম দিয়াজের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে জয়সূচক গোলটি করেন গার্সিয়া। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনার হারের পেছনে যার দোষ দেখছেন মিরাজ

শেষ ওভারে চিটাগাং কিংসের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান, ক্রিজে দুই টেলএন্ডার। হাতে ছিল দুই পেসার মুশফিক হাসান ও জেসন হোল্ডার। কিন্তু অভিজ্ঞ হোল্ডারের বদলে মেহেদী হাসান মিরাজ বল তুলে দেন তরুণ মুশফিকের হাতে, আর তাতেই ম্যাচ ফসকে যায় খুলনা টাইগার্সের। শেষ বলে হারের পর মুশফিককে শেষ ওভার করানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন খুলনা অধিনায়ক, পাশাপাশি হোল্ডারকেই দোষ দিয়েছেন তিনি।  

বুধবার রাতে মিরপুরে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ২ উইকেটে জিতে ফাইনালে উঠেছে চিটাগাং কিংস। অথচ ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই এগিয়ে ছিল খুলনা। কিন্তু শেষ ওভারে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দলকে হারতে হলো বলে সমালোচনা হচ্ছে।  

শেষ ওভারে মুশফিককে বল দেওয়া নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী হোল্ডারকে বল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৮তম ওভারে সে এক ছক্কা ও এক চার খেয়ে ১২ রান দিয়ে দিয়েছে। এমন একজন অভিজ্ঞ বোলার যদি এমন পরিস্থিতিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দলের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যায়।’  

১৮তম ওভারে আলিস আল ইসলামের ছক্কা ও চারে ১২ রান দিয়ে বসেন হোল্ডার। পরের ওভারে হাসান মাহমুদ মাত্র ৬ রান দিয়ে ভালো করেন। ফলে শেষ ওভারে ১৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়, যা ডিফেন্ড করা সম্ভব ছিল বলে মনে করেন অনেকে। হোল্ডারের আগের ওভার ভালো না হওয়ায় তার ওপর ভরসা রাখতে পারেননি মিরাজ, ‘যদি মুশফিককে ১৯তম ওভারে বল দিতাম আর সে ১২-১৩ রান দিয়ে দিত, তাহলে শেষ ওভারেও ১৫ রান লাগত। এজন্য হোল্ডারের ওপর ভরসা করতে পারছিলাম না।’  

তবে মুশফিককে বল দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ শেষ ওভারে ১৫ রান প্রয়োজন হলেও, উইকেটে ছিল দুই টেলএন্ডার। ম্যাচ তখনও খুলনার দিকেই হেলে ছিল। কিন্তু মুশফিক ১৫ রান দিয়ে বসেন এবং খুলনাকে বিদায় নিতে হয় বিপিএল থেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ