রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির পেছনে (উত্তর দিকে) ছয়তলা ভবনটি ভাঙা হচ্ছে। ভবনটির ভেতর থেকে বই, স্টিল, লোহা, টিন, কাঠসহ বিভিন্ন জিনিস ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ভাঙা হচ্ছিল। বেলা ১১টা পর্যন্ত বাড়িটির অনেক অংশই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্টিলের কাঠামো ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন একজন। ভাঙারির দোকানে এগুলো বিক্রি করা হবে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভবনে ঢুকে ‘হাওয়া’ হয়ে গেলেন ব্যাটারি বাবু!

রাজশাহী নগরের একটি বহুতল ভবনে ঢুকে ‘হাওয়া’ হয়ে গেছেন মোস্তাক আহমেদ বাবু নামের এক ব্যক্তি, যিনি ‘ব্যাটারি বাবু’ নামেও পরিচিত। ভবনের নিরাপত্তা প্রহরীর খাতায় তার নাম ছিল, সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও তাকে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে দেখা গেছে। তবে, ওই ভবনটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘ অভিযানেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মোস্তাক আহমেদ বাবু নগরের বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে ছাত্র-জনতা খবর পায়, বাবু নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকার একটি বহুতল ভবনে নিজের ফ্ল্যাটে উঠেছেন। এরপর তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ভবনটি ঘেরাও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তল্লাশির পরও বাবুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ভবনটিতে। ভোররাত পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভবনটি ঘিরে রেখেছিল।

আরো পড়ুন:

কড়া নিরাপত্তায় বিএসইসিতে ঢুকলেন চেয়ারম্যান-কমিশনার

স্বরাষ্ট্র সচিব
কিশোর গ্যাংয়ের ছেলেরা দৌড়াচ্ছে, ভারী বুট পরা পুলিশ তার পিছনে দৌড়াতে পারে না

বাবু রাজশাহীতে একটি ব্যাটারি দোকান পরিচালনা করেন, যার নাম ‘সাব্বির আয়রন স্টোর’। এ কারণেই তার ডাকনাম ‘ব্যাটারি বাবু’ হয়ে গেছে। ব্যাটারির ব্যবসা ছোট হলেও তিনি অত্যন্ত বিলাসী জীবনযাপন করেন। তার বিরুদ্ধে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।

ব্যাটারি বাবু ২০০৩ সালে ক্রিকেটার জিকো হত্যা মামলার আসামিও ছিলেন। ওই মামলার পর তিনি মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে যান এবং ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ফেরেন। এইপর মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মীর তৌহিদুর রহমান কিটুর ছত্রছায়ায় রাজনীতি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পান।

ব্যাটারি বাবুর খোঁজ পাওয়া না যাওয়ায় ছাত্র-জনতার মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। রাতে ভবনের সামনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, “আমরা তাকে ঢুকতে দেখেছি। তারপর কীভাবে তিনি হাওয়া হয়ে গেলেন, তা বুঝতে পারছি না।”

এক ছাত্র জানান, ফ্ল্যাটের সামনে গেলে তার (বাবু) পরিবারের সদস্যরা পাঁচ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন, তাকে গ্রেপ্তার না করানোর জন্য। কিন্তু তারা টাকা না নিয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “রাত ৩টা পর্যন্ত অভিযান চলেছে, আসামিকে পাওয়া যায়নি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাঙ্গাইলে সাবেক এমপির বাড়ি দখল করে ‘পাগলের আশ্রম’ চালু
  • রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতার ফ্ল্যাটে ঢোকার খবর পেয়ে পুলিশের অভিযান
  • ভবনে ঢুকে ‘হাওয়া’ হয়ে গেলেন ব্যাটারি বাবু!