দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির
Published: 6th, February 2025 GMT
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৩৬ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যেখানে ২৭ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি। গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৪১ টাকা ৬৬ পয়সা; ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে যা ছিল ১৩২ টাকা ৬১ পয়সা।
জুলাই-সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বছরের প্রথম প্রান্তিকেও পাওয়ার গ্রিডে কোম্পানি লোকসানে ছিল। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৮১ পয়সা। এ ছাড়া শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ৫ টাকা ৭৪ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩৩ টাকা ০২ পয়সা।
৩০ জুন ২০২৪ তারিখে শেষ হওয়া অর্থবছরে লভ্যাংশ দেয়নি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি। গত অর্থবছরে পাওয়ার গ্রিডের লোকসান হয়েছে শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ০১ পয়সা। এই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩২ টাকা ৬১ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ১২ টাকা ৮৬ পয়সা। তার আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল যথাক্রমে ১০ টাকা ১১ পয়সা, ১২৩ টাকা ৩২ পয়সা ও ১২ টাকা ৩২ পয়সা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২০২৪ ত র খ বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
পোশাকশিল্প মালিকেরা করপোরেট কর অপরিবর্তিত চান
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট করহার বর্তমানের মতো ১২ শতাংশ বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে রপ্তানিমুখী খাতটি ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে করপোরেট কর বাড়ানো হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর মধ্যে আস্থার ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক্-বাজেট আলোচনায় তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর এবং বিকেএমইএর নেতারা এ দাবি করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। প্রাক্–বাজেট আলোচনায় অংশ নেন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এনামুল হক, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সহসভাপতি সালেউদ জামান খান প্রমুখ।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আগামী পাঁচ অর্থবছরের জন্য উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জানান। তিনি শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবাকে ১০০ শতাংশ ভ্যাটমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন। বিকেএমইএ বন্ড ব্যবস্থাপনায় আমদানি পণ্যের চালান খালাসের সময় যে জটিলতা দেখা দেয়, তা নিরসনে এইচএস কোড সহজ করা ও ৮ ডিজিটের পরিবর্তে ৬ ডিজিটের এইচএস কোড চালুর দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটি আগামী বাজেটে জ্বালানিসাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আবার ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
ম্যান মেইড বা কৃত্রিম তন্তুর তৈরি পোশাক খাতের বিনিয়োগ ও রপ্তানি উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, দেশের বাজারে কৃত্রিম সুতা বিক্রির ওপর থেকে ৩ শতাংশ কর প্রত্যাহার, কৃত্রিম তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানিতে দেওয়া অগ্রিম কর (এটি) ও সম্পূরক শুল্ক (এসডি) এবং প্রযোজ্য ভ্যাট প্রত্যাহার চেয়েছে বিকেএমইএ।
এদিকে তুলা ও সুতা সরবরাহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের হার দশমিক ৫০ করার দাবি জানায় বিটিএমএ। এ ছাড়া শিল্পোৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের সরবরাহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৩ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক ৫ শতাংশ করার আহ্বান জানান।