সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আলোচিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গত রাত থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালেও চলছে বুলডোজার। শেখ মুজিবুর রহমানের তিনতলা বাড়িটির সামনের অংশ অনেকটাই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাড়িটি। সকালে দেখা যায়, বুলডোজার অবিরাম ভাঙার কাজ করে যাচ্ছে।

বাড়ি ভাঙতে রাতে হলুদ রঙের একটি বুলডোজার আনা হলেও সকালে নীল রঙের অন্যটি দেখা যায়। সীমানা প্রাচীরসহ বাড়ির সামনের দিকে অনেকটাই এখন ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভবনটিতে রাতে লাগানো আগুন সকালে আর জ্বলতে দেখা যায়নি। বাড়ির আঙিনায় থাকা ছোট-বড় সব গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তবে গতরাতের মতো ভাঙচুর চালানো বিক্ষুব্ধদের ভিড় তেমন ছিল না। শুধু ভারী যন্ত্রের আওয়াজই সবকিছু ছাপিয়ে শোনা যাচ্ছে।

সেখানে উপস্থিত কয়েকজন জানান, ভবনের বাকি অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে সমান না করা পর্যন্ত কাজ চলবে।

পরে বিক্ষুব্ধদের একটি দলকে সেখানে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, স্বৈরাচারের ফাঁসি চাই, ছাত্রলীগের ফাঁসি চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

ঘটনাস্থলে বুলডোজারের চালক সুজন মিয়া জানান, গতকাল রাত থেকে বাড়িটি ভাঙার কাজে আছি। বাড়িটি ভাঙতে সময় লাগছে, কারণ বাড়িটি মজবুত করে বানানো মনে হচ্ছে। এরই মধ্যে মেশিনের তিনটি দাঁত ভেঙে গেছে।

গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাসার সামনে এসে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়িটিতে প্রবেশ করেন তারা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতার ভিড়ও বাড়তে থাকে। সে সময় বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রবেশমুখে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরে রাতেই বাড়ির সামনে বুলডোজার আনা হয়।

এরআগে, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে বুধবার রাত ৯টার দিকে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স। এ ছাড়া সন্ধ্যায় ‘ছাত্র-জনতা আন্দোলন’ নামে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে পোস্ট করা হয়।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: র স মন ধ নমন

এছাড়াও পড়ুন:

আইপিএলে আজ অনন্য কীর্তি গড়তে পারেন কোহলি

ছক্কার রাজা ক্রিস গেইল আইপিএলেও সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন (৩৫৭টি)। সবচেয়ে বেশি চার মেরেছেন শিখর ধাওয়ান (৭৬৮)।

তবে চার-ছক্কা মিলিয়ে সবার ওপরে বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে সব মৌসুম খেলা ‘কিং কোহলি’ এখন পর্যন্ত বাউন্ডারি মেরেছেন ৯৯৮টি।

বুঝতেই পারছেন, আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০ বাউন্ডারি থেকে কোহলি মাত্র দুটি শট দূরে। সেই মাইলফলকে তিনি আজই পৌঁছে যেতে পারেন।

আজ রাতে নিজেদের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দলটির হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করা কোহলি হাজার বাউন্ডারির মাইলফলক ছুঁতে পারেন পাওয়ারপ্লেতেই।

গত বছর আইপিএলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক (৭৪১) কোহলি এবারও বেশ ছন্দে আছেন। বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রথম চার ম্যাচে ৫৪.৬৬ গড়ে করেছেন ১৬৪ রান। ফিফটি আছে দুটি। ৯৭৭ বাউন্ডারি নিয়ে আইপিএলের ১৮তম আসরে খেলতে নামা কোহলি মেরেছেন আরও ১৫টি চার ও ৬টি ছক্কা।

৩৬ বছর বয়সী এই রানমেশিন এবারের আইপিএলেই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ১২৮ ছক্কা মেরে আইপিএলের এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ছক্কায় ক্রিস গেইলের রেকর্ডও (১২৭) ভেঙেছেন। একই ভেন্যুতে আজ দুটি বাউন্ডারি মারলেই আরেকটি কীর্তি গড়ে ফেলবেন কোহলি।

আরও পড়ুনকোন ওষুধে কাজ হচ্ছে কোহলির বেঙ্গালুরুর০৮ এপ্রিল ২০২৫

আইপিএলে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির রেকর্ডটা অনেক আগে থেকেই কোহলির। ৯২০ বাউন্ডারি মেরে দুইয়ে থাকা শিখর ধাওয়ান গত বছর খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দিয়েছেন।

আইপিএলে চার–ছক্কায় কোহলিকে অদূর ভবিষ্যতে কেউ ছুঁতে পারবেন বলে মনে হয় না

সম্পর্কিত নিবন্ধ