মেয়ে ও নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্স নারীদের (রূপান্তরিত নারী) অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার এ আদেশে সই করেন তিনি।

 নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরিত নারী–পুরুষ) খেলোয়ারদের মেয়ে ও নারী শাখায় বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ এবং নারীদের লকার রুম ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়, সেসব প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার বিরত থাকবে। খবর- আল জাজিরা 

শিক্ষা খাতে ১৯৭২ সালে প্রণীত লৈঙ্গিক বৈষম্য দূরীকরণ আইনের (টাইটেল নাইন) কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমরা করদাতাদের কাছ থেকে ডলার গ্রহণকারী প্রতিটি বিদ্যালয়কে নোটিশ দিচ্ছি, যদি আপনারা নারীদের খেলার দলে পুরুষদের (ট্রান্স নারী) নিয়ন্ত্রণ করতে দিতে চান এবং আপনাদের লকার রুমে প্রবেশ করতে দিতে চান, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে টাইটেল নাইন লঙ্ঘনের তদন্ত হবে। কেন্দ্রীয় তহবিল পাওয়া ঝুঁকিতে পড়বে।

ট্রাম্প আরও বলেন, মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা তিনি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সাথে কথা বলবেন যাতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ২০২৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আগেই লিঙ্গভিত্তিক অংশগ্রহণকে স্পষ্টভাবে সমর্থন করা যায়। অলিম্পিক কমিটি খেলাধুলায় ট্রান্স নারী–পুরুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে।

‘আমরা চাই, তারা অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ও পুরোপুরি হাস্যকর এই বিষয়ের (মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ) সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু বদলে ফেলবে,’ যোগ করেন ট্রাম্প।

ট্রান্স নারীদের খেলায় অংশগ্রহণের বিষয়টি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে; যদিও মেয়েদের খেলায় অংশ নেওয়া ট্রান্স নারীদের সংখ্যা বেশ কম।

ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিএএ) প্রেসিডেন্ট চার্লি বেকার গত ডিসেম্বরে সিনেট প্যানেলের সামনে এক শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। তখন চার্লি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫ লাখ ২০ হাজার খেলোয়াড়ের মধ্যে তিনি ১০ জনেরও কম ট্রান্স নারী খেলোয়ারের কথা জানেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অল ম প ক

এছাড়াও পড়ুন:

হার্ভার্ড হেলথ হ্যাকাথনের আঞ্চলিক হাব হয়েছে ইউআইইউ

প্রথমবারের মতো হার্ভার্ড হেলথ সিস্টেমস ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২৫ (এইচএসআইএল) এর আঞ্চলিক হাব হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। 

গত ০৪ মার্চ ২০২৫ হার্ভার্ড এইচএসআইএল কর্তৃপক্ষের তারিখে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে ইউআইইউ বাংলাদেশে প্রথম এই স্বীকৃতি অর্জন করে।

হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের হেলথ সিস্টেমস ইনোভেশন ল্যাব (HSIL) এর সহযোগিতায় আয়োজিত এ হ্যাকাথন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশগ্রহণে ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এ গ্লোবাল হ্যাকাথন বিশ্বের সেরা উদ্ভাবকদের একত্রিত করে উচ্চমূল্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার নিয়ে কাজ করবে। পূর্বের হ্যাকাথনগুলোতে আফ্রিকায় ডিজিটাল হেলথ, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় ডায়াবেটিস কেয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে যুগান্তকারী উদ্ভাবনগুলো বিকাশ লাভ করেছে। 

২০২৫ সালের হ্যাকাথনের মূল প্রতিপাদ্য হলো— উচ্চমূল্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে যুক্ত হচ্ছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), ইউনিভার্সিটি অব সিডনি (অস্ট্রেলিয়া), কিংস কলেজ লন্ডন (যুক্তরাজ্য), কচ ইউনিভার্সিটি (তুরস্ক), সিনহুয়া ইউনিভার্সিটি (চীন) এবং এনটিইউ সিঙ্গাপুর।

আগামী ১১-১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা মাল্টিডিসিপ্লিনারি দল গঠন করে এআই চালিত স্বাস্থ্যসেবা সমাধান উদ্ভাবনে কাজ করবে। অভিজ্ঞ মেন্টরদের সহযোগিতায় আইডিয়াগুলো শাণিত করা হবে এবং তা বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। প্রতিটি আঞ্চলিক হাবের বিজয়ী দলগুলো গ্লোবাল মূল্যায়ন পর্বে অংশ নেবে। সবচেয়ে সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনগুলো এইচএসআইএল ভেঞ্চার ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হবে, যেখানে চার সপ্তাহের মেন্টরশিপ, ফান্ডিং স্ট্রাটেজি ও বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ প্রদান করা হবে।

এ হ্যাকাথনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, গবেষক, তরুণ পেশাজীবী এবং উদীয়মান স্টার্টআপগুলো সহ সবার জন্য উন্মুক্ত। অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যসেবা, পাবলিক হেলথ, মেডিসিন, ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এবং বিজনেসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আসার সুযোগ রয়েছে।

অংশগ্রহণকারীরা ৩-৫ সদস্যের দল গঠন করে অংশগ্রহণ করতে পারবে, যেখানে নতুন ও প্রাথমিক পর্যায়ের আইডিয়াগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সম্পূর্ণ সমাধানের চেয়ে সম্ভাবনাময় নতুন ধারণার বিকাশই এখানে মূল লক্ষ্য।

অংশগ্রহণের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত। বিস্তারিত জানতে এবং অংশগ্রহণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।

আঞ্চলিক হাব হওয়ার বিষয়ে ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ বলছে, ইউআইইউ এর ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন (আইরিক), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের সহায়তায় এটা সম্ভব হয়েছে। এ হ্যাকাথনের বাংলাদেশ হাব পার্টনার হওয়ার মাধ্যমে আইরিক ইউআইইউ এর উদ্ভাবন-ভিত্তিক গবেষণা ও শিল্পখাতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করেছে।

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৭৫ শতাংশ কমানো হলো পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি
  • ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার নামে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ ডিএমপির
  • হার্ভার্ড হেলথ হ্যাকাথনের আঞ্চলিক হাব হয়েছে ইউআইইউ
  • ফরিদপুরে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের দাবি