বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সদস্যপদ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। গতকাল বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র এ ঘোষণা দেন।

গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলে ট্রাম্পকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করেন। শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করতে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। আর এবার আর্জেন্টিনাও ট্রাম্পের সে দেখানো পথে হাঁটল।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ম্যানুয়েল অ্যাদরনি বলেন, আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন মিলে। স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিষয়গুলো সামলাতে ডব্লিওএইচওর ভূমিকা নিয়ে গভীর মতভিন্নতাগুলোকে কেন্দ্র করে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। আর্জেন্টিনার আগের বামপন্থী সরকারের সময়ে মাসের পর মাস ধরে লকডাউন (করোনাকালীন) চলার প্রসঙ্গটি এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

অ্যাদরনি বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অন্য দেশগুলোর রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে পুরোপুরি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তাদের স্বাধীনতায় ঘাটতি আছে।

ট্রাম্পও একই রকম করে দাবি করেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ মহামারি এবং অন্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংকটকে যথাযথভাবে সামাল দিতে পারেনি।

এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বের হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম সমাবর্তন আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর আফতাবনগর খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন। সমাবর্তনে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ২ হাজার ৮৮৫ শিক্ষার্থীকে সনদ এবং অনন্য মেধাবী ছয়জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক।

শিক্ষাউপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘একদিকে নতুন প্রযুক্তি সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করছে, অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী অসহিষ্ণুতা, উগ্রজাতীয়তাবাদ এবং সংকীর্ণতা বড় অর্জনের পথে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নিজেদের মেধা, দক্ষতা ও শ্রম দিয়ে বিশ্বব্যাপী শান্তি, সহিষ্ণুতা, সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ সদ্য-স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে পরিবারের প্রতি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা এপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ থেকে ২৫ বা ৩০ বছরের পরের বাংলাদেশ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে তোমাদের ওপর।’ গ্র্যাজুয়েটদের তিনি চাকরির বদলে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বাংলাদেশ উচ্চমানের শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানান। পাশাপাশি একটি আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক এবং উদ্ভাবনী শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দাবি তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, ‘দেশের সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করে পণ্য ও সেবা তৈরিতে মনোনিবেশ করতে হবে। “আমদানি প্রবণ বাংলাদেশ” তকমাটি ঘোচাতে হবে।’

সমাবর্তনে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ২ হাজার ৮৮৫ শিক্ষার্থীকে সনদ এবং অনন্য মেধাবী ছয়জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক

সম্পর্কিত নিবন্ধ