পাঁচটি অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে ফরিদপুরে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সেন্টার ফর হেলথ রিসার্চের সহায়তায় গতকাল বুধবার ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এর উদ্বোধন হয়। 

প্রকল্পটির নাম পারটিসিপিটরি অ্যাঙ্গেজমেন্ট ফর সিটি কমিউনিটিস এগেইনস্ট এনসিডি রিস্ক ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড নেপাল (পিকান)। বাংলাদেশ ও নেপালের মতো দেশের শহরাঞ্চলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে চালু হয়েছে প্রকল্পটি। এর আওতায় নগরবাসীকে সচেতন করে তোলা ও নিজের রোগ নিজে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিতে কাজ করা হবে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক  মো.

 কামরুল হাসান মোল্লা। তিনি বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে জীবনযাপন করলে ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা গেলে এ জাতীয় রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। 

সেখানে আরও বক্তব্য দেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মাহমুদুল হাসান, লন্ডন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এডওয়ার্ড ফট্রেল, জোয়ানা মরিসন, ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম এ সামাদ প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট

সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।

রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক। 

জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন। 

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ