নাটোরে সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের পোড়া বাড়ি আলোচিত ‘জান্নাতি প্যালেসে’ আবারও আগুন দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। গতকাল বুধবার রাতে শিক্ষার্থীরা শহরের কান্দিভিটা এলাকায় সাবেক আগুন দেন। এসময় গান বাজিয়ে নাচানাচিও করেনতারা। 

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মাইক বাজিয়ে মিছিল নিয়ে কান্দিভিটাস্থ শিমুলের জান্নাতি প্যালেসে যান এবং আগুন দেন। প্রায় এক ঘণ্টা পোড়া বাড়ির ভেতরে ছিলেন ছাত্ররা। 

এ সময় ছাত্র নেতারা বলেন, পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে থাকবে না। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা শিমুলের বাড়ি ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে। এর পর থেকে বাড়িটি পোড়ো বাড়িতে পরিণত হয়।

এদিকে নিচাবাজার এলাকায় ছাত্র-জনতা সাবেক পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলির বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সাবেক মেয়রের বাড়িতেও গত ৫ আগষ্ট হামলা চালিয়ে ভাংচুর সহ অগ্নিসংযোগ করেছিল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়েছি, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররাসহ অন্যরাও ছিলেন। বাড়িটিতে তো কিছুই ছিল না। ছাত্র-জনতা বাড়িটিতে ডিজে পার্টি করেছে শুনেছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী

কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।

পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”

উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ