ঈর্ষা সমস্ত খারাপের মূল: সামান্থা
Published: 6th, February 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সবকিছু ভুলে অভিনেতা নাগা চৈতন্যর সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তা ভেঙে যায়। কয়েক মাস আগে নাগা চৈতন্য ফের বিয়ে করেছেন। প্রাক্তনের বিয়ের খবর থেকেই আলোচনায় সামান্থা।
কয়েক দিন আগে জিকিউ ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দেন সামান্থা রুথ প্রভু। এ আলাপচারিতায় প্রাক্তনদের প্রতি তার অনুভূতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। জবাবে সামান্থা বলেন, “আমি আমার জীবনে এত বেশি সময় পার করেছি যে, এটা নিয়ে আর ভাবতে পারছি না।”
প্রাক্তন প্রেমিকদের নিয়ে আপনার মনে আনন্দ, তিক্ততা বা ঈর্ষার কোনো চিহ্ন আছে কিনা? জবাবে সামান্থা রুথ প্রভু বলেন, “ওহ, না। আমি যে বিষয়টি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করি তা হলো-ঈর্ষা। আমি এটিকে আমার জীবনের মূল হতে দিতে রাজি নই। আমি মনে করি, ঈর্ষা সমস্ত খারাপের মূল। অন্য সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু ঈর্ষার মতো অস্বাস্থ্যকর কোনো কিছুর স্থান আমার জীবনে নেই।”
২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পায় তেলুগু ভাষার রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার সিনেমা ‘জবরদস্ত’। এতে সামান্থার সঙ্গে জুটি বাঁধেন দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা সিদ্ধার্থ। কানাঘুষা শোনা যায়, সিনেমাটির শুটিং সেটে দুই তারকার মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়। কাজের উসিলায় পরিচয় হলেও সামান্থা-সিদ্ধার্থের সম্পর্ক ব্যক্তিগত স্তরে বাঁধা পড়ে যায়। সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সামান্থা। টানা দুই বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। কিন্তু তাদের সম্পর্ক খুব একটা মধুরভাবে শেষ হয়নি। শোনা যায়, সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন সামান্থা অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে মেলামেশা করুন; যা পছন্দ হয়নি সিদ্ধার্থের। এই বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটিও হয়।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কারো কারো দাবি, দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর সিদ্ধার্থকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন সামান্থা। কিন্তু সিদ্ধার্থ নানাভাবে তা এড়িয়ে যান। বিয়ে নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখাতেন না তিনি। তা ছাড়াও সামান্থা-সিদ্ধার্থের সম্পর্কে ঢুকে পড়েন কন্নড় সিনেমার অভিনেত্রী দীপা। ২০১৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তামিল সিনেমা ‘এনাকুল ওরুভান’। এই সিনেমায় সিদ্ধার্থের বিপরীতে অভিনয় করেন দীপা। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তারা।
২০১০ সালে ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন সামান্থা রুথ প্রভু। প্রথম সিনেমায় সামান্থার নায়ক ছিলেন নাগা চৈতন্য। এই সিনেমার সেটে প্রথম আলাপ হয় দুজনের। সেখান থেকে তাদের ভালো লাগা ও বন্ধুত্ব।
সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার পর ২০১৪ সালে ‘অটোনগর সুরিয়া’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়ে নাগা চৈতন্য এবং সামান্থার বন্ধুত্ব আরো গভীর হয়। ২০১৫ সালে নাগাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে সামান্থা একটি মিষ্টি বার্তা লিখেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর জবাবও দেন নাগা। তারপর বিষয়টি নিয়ে দারুণ আলোচনা হয়। এরপর একাধিক অনুষ্ঠানে নাগা-সামান্থাকে একসঙ্গে দেখা যায়। প্রেমের গুঞ্জন চাউর হলেও দুই তারকাই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। ২০১৬ সালে নাগার সঙ্গে সম্পর্কে থাকার খবরে সীলমোহর দেন সামান্থা।
২০১৭ সালে বাগদান সারেন সামান্থা-নাগা চৈতন্য। একই বছরের অক্টোবরে ধুমধাম করে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু তাদের বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর মাত্র চার দিন আগে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এই দুই তারকা। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে সংসার জীবনের ইতি টানেন এই জুটি। সংসার ভাঙার পরিচালক রাজ নিডিমোরুর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জন শোনা যায়। যদিও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সামান্থা রুথ প্রভু।
ঢাকা/শান্ত/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে
সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফাহিমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নারের আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঙ্গলবার মামলায় চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। আইয়ুব আলী ফাহিম চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। চার্জশিট আসায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষে আনোয়ারুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আদালত মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আইয়ুব আলী ফাহিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী অর্থাৎ ভুক্তভোগী নারী আইয়ুব আলী ফাহিমের সৎ মেয়ে। বাদীর বয়স যখন আট বছর, তখন তার মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাদীর মায়ের সঙ্গে ফাহিমের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাদীর মা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বাদীর বাংলাদেশে বিয়ে হয়। তবে, তারও বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বাদীর এক ছেলে সন্তান আছে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং শিশু সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন আইয়ুব আলী ফাহিম। এরপর প্রায় পাঁচ মাস ধরে নানা সময় একইভাবে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।
মামলাটি তদন্ত করে ধানমন্ডি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর খোকন মিয়া গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক