গোপালগঞ্জে মহাসড়কে বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
Published: 6th, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ ও ধাক্কায় একজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের ঘোষগাতি বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির পরিচরয় পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের যাত্রীবাহী একটি বাস আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষগাতি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের বাসটির সংঘর্ষ হয়। একই সময় একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন থেকে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। পরে অন্য একটি ট্রাকের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে সড়কের দুই দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সড়ক থেকে যানবাহন সরিয়ে নেয়। ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই বন্ধু নিহত
এদিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই তরুণ হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের ইরাজ খানের ছেলে ওয়ালিদ খান (১৯) ও হুমায়ুন মোল্লার ছেলে সিয়াম মোল্লা (১৯)। তাঁরা কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া সরকারি এসকে কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ শহর থেকে দুই বন্ধু ওয়ালিদ ও সিয়াম মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুরে পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে দুজন গুরতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক ওয়ালিদকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সিয়ামের মৃত্যু হয় ঢাকায় নেওয়ার পথে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ সদর উপজ ল র স ঘর ষ সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হল থেকে মোছা হলো শেখ পরিবারের সদস্যদের নাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩টি হল থেকে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম মুছে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার রাতের বিভিন্ন সময়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এর আগে রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা ম্যুরালে ক্ষমতাচ্যুত সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার পোস্টার ঝুলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে জুতা নিক্ষেপ করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত শেখ হাসিনার পোস্টারে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি ফ্যাসিবাদের মূল নায়ক হাসিনা ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা দেন। তাই হাসিনার ঘৃণাসূচক প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘শেখ রাসেল হলের’ সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে ‘শেখ পরিবারের’ নামে কোনো স্থাপনা থাকবে না জানিয়ে ঘোষণা দেন তাঁরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভাষণ না জুতা, জুতা জুতা’; ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘দালালি আর করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না’; ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সবুজ রঙের কালিতে ঢাকা হয়েছে শেখ রাসেল হলের নামের একাংশ। আজ সকালে তোলা