Samakal:
2025-02-06@05:58:37 GMT

তেতেছে ফলের বাজার

Published: 6th, February 2025 GMT

তেতেছে ফলের বাজার

বাড়তি সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে দু’দিন বন্দর থেকে আমদানি করা ফল খালাস এবং সরবরাহ বন্ধ রাখেন আমদানিকারকরা। এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। মাত্র দুই দিনেই পাইকারিতে ২০ কেজির প্রতি কার্টন আমদানি করা ফলের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

খুচরায় বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকার মতো। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফকিরাপুল ও বাদামতলী বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, আগে আমদানি করা যেসব ফল রয়েছে, সেগুলো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হচ্ছে। গত মঙ্গল ও বুধবার আমদানি ও খালাস পুরোপুরি বন্ধ ছিল। বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার না হলে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ফল আমদানি, খালাস ও সরবরাহ কার্যক্রম ফের বন্ধ থাকবে। তারা বলছেন, ফলের ওপর বর্ধিত শুল্ক আরোপ এক ধরনের হটকারী সিদ্ধান্ত। এটি প্রত্যাহার করা না হলে ফল নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ফল ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙুর, আনারসহ আমদানি করা বিভিন্ন তাজা ফলের ওপর মোট শুল্ক-কর ছিল ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শুল্ক-কর বাড়িয়ে করা হয় ১১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তা আরও বেড়ে হয় ১১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। চলতি অর্থবছর মাঝামাঝি এসে গত ৯ জানুয়ারি আরেক দফা সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে মোট শুল্ক-কর দাঁড়িয়েছে ১৩৬ দশমিক ২০ শতাংশে। গত সাড়ে তিন বছরে চার দফায় বেড়েছে শুল্ক-কর। সর্বশেষ গত ৯ জানুয়ারি সরকার ফল আমদানিতে নতুন করে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে এটি হয়েছে ৩০ শতাংশ।

এভাবে শুল্ক বাড়ানোর কারণে গত সপ্তাহে বাজারে আমদানি করা সব ধরনের ফলের কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকার মতো বেড়ে গেছে। বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ফল ব্যবসায়ীরা গত মঙ্গলবার থেকে দু’দিন চট্টগ্রাম, বেনাপোলসহ সব স্থল ও নৌপথ দিয়ে ফল আমদানি এবং খালাস বন্ধ রাখেন। এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারে। নতুন করে আরেক দফা বেড়েছে দাম। গত দুই দিনে মাল্টা, আপেল, আনার ও আঙুরের কার্টনে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দাম বেড়েছে। প্রতি কার্টনে ২০ কেজি ফল থাকে। সেই হিসাবে পাইকারি বাজারে কেজিতে বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা। এর ফলে খুচরা বাজারে বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাল্টার কেজি ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দু’দিন আগে কেজি ছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে আরও কম অর্থাৎ কেজি কেনা গেছে ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকায়। দুই-এক দিন আগেও সবুজ আঙুরের কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ এবং কালো আঙুরের কেজি ৪০০ থেকে ৪৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম বেড়ে গতকাল এই দুই জাতের আঙুরের কেজি বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ৩৩০ থেকে ৩৪০ ও ৪৪০ থেকে ৪৬০ টাকায়।

এ ছাড়া দুই-তিন দিন আগেও আফ্রিকার আপেলের (সবুজ রঙের) কেজি ছিল ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি। আর পুঁজি আপেলের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। দাম বেড়ে এখন এ দুই জাতের আপেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৭০ এবং ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা। কমলা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি, যা দু’দিন আগে ছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকা। দুই দিনে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে। আকারভেদে আনারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, যা দুই-তিন দিন আগে ছিল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের ফল বিক্রেতা মো.

বোরহান সমকালকে বলেন, দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কিছুটা কমেছে। অনেকেই দাম শুনে হাঁটা ধরেন। সামনে বিক্রি আরও কমে গেলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফআইএ) সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, গত মঙ্গল ও বুধবার সব স্থল ও নৌপথ দিয়ে ফল আমদানি এবং খালাস বন্ধ রাখা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহ আমদানি ও খালাস কার্যক্রম চলবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার বন্ধ থাকবে।

মাঝে এক সপ্তাহ চালু রেখে আবার বন্ধ কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফল বিশেষ করে শিশু ও রোগীদের খাদ্য। সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হলে এই দুই শ্রেণির মানুষের কষ্ট বেশি হবে। সে জন্য মাঝে এক সপ্তাহ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হবে। সরকার বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার না করলে এই কর্মসূচি চলবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল ক কর ব যবস য় সরবর হ দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

সিরামিক পণ্যে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারসহ তিন দাবি বিসিএমইএর

সিরামিক টাইলস ও স্যানিটারি পণ্যের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারসহ তিনটি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ)। জ্বালানি গ্যাসের দাম পুনরায় না বাড়িয়ে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছে বিসিএমইএ।

বিসিএমইএর প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) মইনুল ইসলাম বলেছেন, “সিরামিক অত্যন্ত সম্ভাবনাময় আমদানি বিকল্প শিল্প খাত। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রপ্তানি এবং আমদানি বিকল্প পণ্য হিসেবে দেশে ইতোমধ্যেই ৮০টির বেশি সিরামিক টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সিরামিক পণ্য রপ্তানি করে যেমন মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে, তেমনই ধীরে ধীরে আমদানি হ্রাস পাওয়ায় বছরে অন্তত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ হচ্ছে।”

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “বর্তমানে সকল দেশীয় টাইলস উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক এবং দেশীয় স্যানিটারি পণ্য উৎপাদন পর্যায়ে ১০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপিত আছে। সিরামিক টাইলস ও স্যানিটারি পণ্য এখন আর বিলাসদ্রব্য হিসেবে বিবেচিত হয় না, ভবন নির্মাণে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী হিসেবে বিবেচিত হয়। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে সাধারণ লোক স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। এটি সরকারের ঘোষিত ‘সকলের জন্য স্যানিটেশন’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত করবে। তাই, দেশীয় টাইলস উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং দেশীয় স্যানিটারি পণ্য উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।”

বিসিএমইএর প্রেসিডেন্ট বলেন, “গ্যাসনির্ভর এই শিল্পে ক্রমাগত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া প্রধান সমস্যা। ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিল্প খাতে গ্যাসের মূল্য প্রায় ৩৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ২০২৩ সালে শিল্প খাতে প্রায় ১৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে কেজি-প্রতি সিরামিক পণ্যের গড় উৎপাদন ব্যয় ১৮ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তৈরি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু, বিদেশি পণ্যের সাথে মূল্য প্রতিযোগিতার কারণে দেশীয় তৈরি পণ্যের মূল্য ইচ্ছেমতো বৃদ্ধি করা যায় না। ফলে, প্রতিযোগী বাজারে উৎপাদককে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।”

তিনি বলেন, “সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, সরকার আরেক দফায় গ্যাসের মূল্য গড়ে ১৫২ শতাংশ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে। এতে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় আরো ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেড়ে যাবে, যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সিরামিক শিল্প। এতে দেশীয় পণ্য বিদেশি পণ্যের সাথে মূল্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। এ কারণে উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সর্বোপরি দেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সময়মতো ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতায় ঋণখেলাপি বৃদ্ধি পাবে। এতে একদিকে যেমন শিল্প বিরোধ সৃষ্টি হবে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মামলা বৃদ্ধি পাবে, মূল্যস্ফীতির কারণে আয়-ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতাসহ অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তাই, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি না করার আহ্বান জানাই।”

মইনুল ইসলাম বলেন, “সিরামিক গ্যাসনির্ভর প্রসেস ইন্ডাস্ট্রি। সিরামিক শিল্পে গ্যাস কাঁচামালের উপকরণ হিসেবে গণ্য হয়। এই শিল্পে গ্যাসের বিকল্প কোনো জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ নেই। পণ্য প্রস্তুত করতে নির্দিষ্ট মাত্রার চাপে কারখানায় ২৪ ঘণ্টাই নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ থাকতে হয়। নির্দিষ্ট মাত্রার চাপে গ্যাসের সরবরাহের ঘাটতি হলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় থাকা সকল পণ্য সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে, কোম্পানির বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়। কারখানায় নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ না থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে গ্যাসের বিল দিতে হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে প্রয়োজনীয় গ্যাসের চাপের অভাবে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় বিশ্ববাজারে নামি-দামি কোম্পানি আমাদের থেকে অর্ডার বাতিল করেছে। প্রায় ১ বছর যাবৎ ঢাকা জেলার মিরপুর, সাভার, ইসলামপুর, ধামরাই ও কালামপুর; নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ ও মেঘনাঘাট; গাজীপুর জেলার টঙ্গী, কাশিমপুর, ভবানীপুর, ভাওয়াল মির্জাপুর, শ্রীপুর ও মাওনা; নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা এবং ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা ও ত্রিশাল এলাকায় অবস্থিত ২২ থেকে ২৫টি সিরামিক তৈজসপত্র, টাইলস, স্যানিটারিওয়্যার সিরামিক ব্রিকস কারখানায় তীব্র গ্যাস সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। সিরামিক কারখানায় যেখানে গ্যাসের ১৫ পিএসআই প্রেসার প্রয়োজন হয়, সেখানে গ্যাসের প্রেসার কখনো কখনো ২-৩ পিএসআই থেকে শূন্যের কোটায় পর্যন্ত নেমে আসছে। এতে প্রতিদিন ক্ষতি হয় ২০ কোটি টাকার বেশি। ফলে, উৎপাদকরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই, দেশের সিরামিক শিল্পকে অগ্রাধিকার খাত হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার প্রস্তাব করছি।”

ঢাকা/এনএফ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সামাজিক সুরক্ষা পথ হারাইবে কেন?
  • উত্তরাঞ্চলে পেট্রোল পাম্প মালিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার
  • গরমে বিদ্যুতের ঘাটতি সামাল দিতে এসির ব্যবহার কমানোর দিকে নজর উপদেষ্টার
  • অর্থ সংকট আছে, তবে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • দ্বিতীয় মাসেও বই পেল না শিক্ষার্থীরা
  • বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি হলে শ্রীলঙ্কাকে খুঁজে পাওয়া যেত না
  • রমজানে দুর্নীতিমুক্ত ত্রাণ প্যাকেজ চালু করবে পাকিস্তান
  • বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব জায়গায়
  • সিরামিক পণ্যে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারসহ তিন দাবি বিসিএমইএর