Prothomalo:
2025-04-10@10:18:04 GMT

ইসলাম উদ্দিন পালাকারের গল্প

Published: 6th, February 2025 GMT

এগারসিন্দুর প্রভাতী যখন কিশোরগঞ্জে থামল, তখন সময় বেলা ১১টা। ট্রেন থেকে নেমে এক মিনিটের হাঁটাপথে একরামপুর বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে আমাদের গন্তব্য করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ গ্রাম, ইসলাম উদ্দিন পালাকারের বাড়ি। অটোতে করে পৌঁছে যাই দরগার ভিটা বাজার। সেখানে আমাদেরই অপেক্ষায় ছিলেন ইসলাম উদ্দিন। জানান, অনুষ্ঠান না থাকলে এখানেই সারা দিন কাটান। নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে চা, মোগলাই খেতে খেতে জমে ওঠে আড্ডা। শুরুতে নুহাশ আহমেদের দ্বিতীয় ‘ষ’–এর ‘বেসুরা’ প্রসঙ্গ। এখানে গায়কের চরিত্রেই অভিনয় করেছেন। ‘এটাতে অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেলাম। এরপর যখন শুনলাম প্রীতম ভাই আছে, কিছুটা চিন্তা কমে যায়। নিজে নিজে চিন্তা করলাম যাত্রায় কত কঠিন কঠিন গল্পে অভিনয় করলাম জীবনে। আর এইখানে তো পরিচালক বলে দিবেন, আমি শুধু পারফর্ম করব। রাজি হয়ে গেলাম। গানটা যখন রেকর্ড হলো, চিন্তাটা একদম কমে গেল। আর নুহাশ ভাই অনেক ভালো মানুষ, আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে সব দেখিয়ে দিয়েছে।’ বললেন ইসলাম উদ্দিন।

স্মৃতির ঝাঁপি খুলে সত্তর-আশির দশকে ফিরে গেলেন ইসলাম উদ্দিন। গ্রামে গ্রামে যাত্রা থেকে পালাগানের আসর বসত, রাতভর দর্শকেরা উপভোগ করতেন নাটক, উঠানে পাটি পেতে শুনতেন গান। ইসলাম উদ্দিন তখন মক্তবের ছাত্র। বয়স ১২ থেকে ১৩। বড় দুই ভাই তখন গ্রামের যাত্রায় অভিনয় করতেন। ভাইদের নাটক দেখতে গ্রামের পর গ্রাম গেছেন তিনি। সে সময় নতুন একটি নাটকের জন্য অভিনেতা খুঁজছিল যাত্রার দল। সব চরিত্র পাওয়া গেলেও নায়ক চরিত্রে কাউকে মনমতো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে নাটকের একটি চরিত্রে অভিনয় করছিলেন ইসলাম উদ্দিনের এক চাচাতো ভাই। তিনিই সন্ধান দেন ইসলামের। পালাকারকে এ চরিত্রে নিতে তাঁর বড় ভাইকে রাজি করান যাত্রা দলের ম্যানেজার। এভাবেই শুরু হয় ইসলাম উদ্দিনের অভিনয়জীবন।

নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে চা, মোগলাই খেতে খেতে জমে ওঠে আড্ডা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী

কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।

পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”

উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ