দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। গত এক দশকের বেশির ভাগ সময় ক্ষমতায় থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি বড় ধরনের পরাজয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে।

গতকাল বুধবার ভারতের দিল্লি বিধানসভার ভোট গ্রহণ শেষে বেশির ভাগ বুথফেরত জরিপ এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। বুথফেরত জরিপ অনেকবারই ভুল প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

আগামী শনিবার ৭০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভা নির্বাচনের ফল জানা যাবে। এককভাবে জিততে হলে কোনো দলকে ৩৬টি আসন পেতে হবে। 

বুথফেরত জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান চাণক্য স্ট্র্যাটেজি, জেভিসি, পোল ডায়েরি, পি-মার্ক, পিপলস ইনসাইট ও পিপলস পালস বিজেপির জয়ের প্রত্যাশা করছে। ৭০ আসনের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির দল ৫১ থেকে ৬০টি আসন পাবে বলেও প্রত্যাশা কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের। পোল ডায়েরি ও পিপলস ইনসাইটের প্রত্যাশা, বিজেপি ৪০টিরও বেশি আসন পাবে। জেভিসি, চাণক্য স্ট্র্যাটেজি ও পি-মার্ক আশা করছে, বিজেপি কমপক্ষে ৩৯টি আসন পাবে। উইপ্রেসাইড বিশ্বাস করে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল ৪৬ থেকে ৫২টি আসন পেয়ে আরও একটি বিশাল জয় পাবে। 

এদিকে, ম্যাট্রিজ বিজেপি ও আম আদমি পার্টির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কেজরিওয়ালের দল ৩২ থেকে ৩৭টি আসন এবং বিজেপি ৩৫ থেকে ৪০টি আসন পাবে। 

অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এসব গণনায় কংগ্রেসের অনুপস্থিতি। চাণক্য স্ট্র্যাটেজি বলছে, দলটি তিনটির বেশি আসনে জিতবে বলে আশা করা হচ্ছে না। পিপলস পালস মনে করছে, গান্ধী পরিবারের নেতৃত্বাধীন দলটি শূন্য আসন পাবে। 

গত এক দশকের বেশির ভাগ সময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দল দিল্লির তিন কোটি মানুষের শাসকের ভূমিকায় রয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আসন পান কেজরিওয়াল। ক্ষমতা গ্রহণের পর তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে দ্রুত গতিতে। জরিপগুলো সত্য হলে আম আদমি পার্টি বড় ব্যবধানে হারতে চলেছে। ২০১৫ সালে ৬৭টি এবং ২০২০ সালে ৬২টি আসনে জয় পেয়েছিল দলটি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আসন প ব

এছাড়াও পড়ুন:

নবায়নযোগ্য শক্তির দাবিতে সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন 

বাংলাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্য অর্জনে নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে অনুষ্ঠিত হলো এক জোরালো মানববন্ধন। এ সময় নীতিমালা সংস্কার, স্মার্ট গ্রিড বাস্তবায়ন ও “বিদ্যুৎ নেই, বিল নেই” নীতি কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে আয়োজিত এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেয় পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি (ESADS)। সহযোগিতায় ছিলো কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (CLEAN) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED)।

এদিনের কর্মসূচিতে পরিবেশকর্মী, সচেতন নাগরিক ও নীতিনির্ধারকদের অংশগ্রহণে গঠিত মানববন্ধনে ব্যানার ও বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় নবায়নযোগ্য শক্তির পথে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো। বক্তারা বলেন, “পুরনো অবকাঠামো, অনুমোদনের জটিলতা, বিনিয়োগ ঝুঁকি এবং নীতির দুর্বল বাস্তবায়ন নবায়নযোগ্য খাতের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।”

এসময় বক্তারা ৬দফা দাবি পেশ করেন ১। একক সেবা কেন্দ্র (One Stop Service) চালু করে দ্রুত প্রকল্প অনুমোদনের ব্যবস্থা। ২। স্মার্ট গ্রিড ও নেট এনার্জি মিটারিং (NEM) বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রিড আধুনিকীকরণ। ৩। বিদ্যুৎ বাজেটের ২০% নবায়নযোগ্য শক্তিতে বরাদ্দ। ৪। ব্যাংকিং খাতের ২৫% জ্বালানি অর্থায়ন নবায়নযোগ্য প্রকল্পে নির্ধারণ। ৫। আমদানি শুল্ক হ্রাস ও ট্যারিফ শর্ত বাতিল। ৬। “বিদ্যুৎ নেই, বিল নেই” নীতির কার্যকর বাস্তবায়ন।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি (ESADS) এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “এই আন্দোলন নারায়ণগঞ্জের সবুজ ও ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যতের প্রতীক। এটি কেবল প্রযুক্তিগত নয়, বরং জীবনমান, জলবায়ু সহনশীলতা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের প্রশ্ন।”

ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর প্রতিনিধি বলেন, “আমাদের মতো জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি শুধু বিকল্প নয়—এটি টিকে থাকার হাতিয়ার।”

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি (ESADS) এর মহাসচিব মীযানুর রহমান, সোনারগাঁ কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ ফজলুল হক ভূইয়া, মনির হোসেন, সাংবাদিক মিমরাজ, মোক্তার হোসেন, জহিরুল ইসলাম জহির, ইমরান, মোঃ হামীম, মোঃ সিফাতসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ