নওগাঁর সাপাহার সীমান্ত থেকে সিরাজুল ইসলাম (৪২) নামে বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাকে আটক করা হয়। সিরাজুল উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

সিরাজুলের স্ত্রী এজেলা খাতুন জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর স্বামী ভারতে গিয়েছিলেন। এর পর সকালে সবাই ফিরে এলেও সিরাজুল আর ফেরেননি। যারা ফিরে এসেছেন, তাদের কাছ তাঁর স্বামীর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকজন বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গরু আনতে যায়। গরু নিয়ে তারা ৪৪/১ এস পিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার নাইরকুড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত জোয়ানরা ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে এলেও সিরাজুলকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বিজিবি ১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল সাদিকুর রহমান জানান, বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি কেউ আটক হয়েছে কিনা এমন কোনো তথ্য তাদের জানা নেই।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তে ফের উত্তেজনা, বিএসএফ সদস্য ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আহত

ফের উত্তেজনা ছড়াল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বাংলাদেশি গরু পাচারকারীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হিলি সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মল্লিকপুর বিওপি এলাকা। গুলি-পাল্টা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে এক বিএসএফ জওয়ান ও এক বাংলাদেশি নাগরিক। আহতদের বর্তমানে চিকিৎসা চলছে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গারামপুর সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পুরো ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বিএসএফের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় এখনো অফিসিয়াল বিবৃতি না এলেও বিএসএফের স্থানীয় বর্ডার আউটপোস্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোররাতে  ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের মল্লিকপুর সীমান্তে। গুলিবিদ্ধ ওই বাংলাদেশি পাচারকারীর নাম মুহাম্মদ আলাউদ্দিন (৩২) তিনি বাংলাদেশের দিনাজপুরের বাসিন্দা। আহত বিএসএফ জাওয়ানের নাম ওরফেজ কুমার (২৭) তিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রামপুরহাট এলাকার বাসিন্দা। আহত ৯১ নম্বর ব্যাটালিয়ানের বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ওয়াফেজ বুধবার মল্লিকপুর বিওপিতে কর্তব্যরত ছিলেন।

বুধবার ভোররাতে প্রায় পাঁচজন সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারের উদ্দেশে ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে। এ সময় কর্তব্যরত ওই জওয়ান বাধা দিতে গেলে অতর্কিত হামলা চালায় ওই বিএসএফ জওয়ানের ওপর। এ সময় বিএসএফ জাওয়ানের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। বাধা দিলে ধরানো অস্ত্রের কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করা হয় তাকে। এরপরেই আত্মরক্ষার্থে পাচারকারীদের উদ্দেশে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ওই বিএসএফ জওয়ান। ঘটনায় মুহাম্মদ আলাউদ্দিন নামে ওই বাংলাদেশি পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হলে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এদিকে এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় সীমান্তবর্তী এলাকায়। সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চলছে দুই আহতের চিকিৎসা। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।

সম্প্রতি গঙ্গারামপুরের সুখদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই মল্লিকপুরের উন্মুক্ত সীমান্ত এলাকায় শুরু হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ। ফলে এই এলাকায় বিএসএফ-বিজিবির পাল্টাপাল্টি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুণ। তারপরেও পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য থামাতে রীতিমত ঘাম ছুটছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সীমান্তে ফের উত্তেজনা, বিএসএফ সদস্য ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আহত
  • নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ 
  • গরু আনতে গিয়ে বিএসএফ-এর হাতে আটক বাংলাদেশি 
  • সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক চার বাংলাদেশি
  • সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
  • বিএসএফের হাতে আটক ৪ বাংলাদেশি