যশোরে শেখ মুজিবের সব ভাস্কর্য, শেখ হাসিনার নামফলক ভাঙচুর
Published: 6th, February 2025 GMT
গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণের ঘোষণা দেওয়ার প্রতিবাদে যশোরে সাতটি স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শেখ হাসিনার নামফলক গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে মধ্যে রাতপর্যন্ত বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হাতুড়ি দিয়ে ভাস্কর্য-নামফলক ভাঙচুর করে। ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবর’সহ ফ্যাসিবাদ-বিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর করে কয়েকটি গ্রুপ। এর আগে থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জড়ো হতে শুরু করে। যদিও গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন এসব ভাস্কর্য ও স্থাপনা কমবেশি ভাঙচুর করে ছাত্র-জনতা।
ছাত্রসমাজের উদ্দেশে শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের ঘোষণা আসার পরপরই এর পাল্টা কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা প্রথমে যশোর পৌরসভা ক্যাম্পাসে শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য গুড়িয়ে দেয়। এরপর মোটরসাইকেল স্লোগান দিতে দিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, বকুলতলাতে ভাস্কর্য, জেলা পরিষদে ম্যুরাল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার স্মৃতিফলক, মনিহার বিজয় স্তম্ভের প্রাচীরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের দৃশ্যপট খোদাই করা ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। সেখান থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে গুড়িয়ে দেয়। এছাড়া অভয়নগর, ঝিকরগাছা, কেশবপুরে উপজেলা পরিষদের ভাস্কর্য ভাঙচুর করার ঘটনাও শোনা গেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, কয়েকটি স্থানে ভাঙচুর হয়েছে বলে শুনেছি। কে বা কারা করেছে সেটা জানা নেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ খ ম জ ব র রহম ন র ছ ত র জনত
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা প্রশাসককে ২৪’র শহীদদের স্মারক দিল জামায়াত
জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তার হাতে ২৪ এর জুলাই -আগস্ট আন্দোলনে শহীদদের স্মারক গ্রন্থসহ শহীদদের তথ্য ভিত্তিক ডকুমেন্টারি স্বারক দিলেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জামায়াত নেতৃবন্দ এ স্বারক তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী শাখার আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর জনাব মমিনুল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, এডভোকেট জাহাঙ্গীর দেওয়ান, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২৪ এর জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হাসিনা সরকারের নির্বিচারে ছাত্র- জনতার উপর হামলার ঘটনায় প্রায় ১৮ শত শাহাদাৎ বরণ করে, জামায়াত সেই সকল শহীদদের নিয়ে স্বারক গ্রন্থ তৈরী করে।