Samakal:
2025-04-09@16:40:53 GMT

নারীবিরোধী তৎপরতা কীসের আলামত

Published: 6th, February 2025 GMT

নারীবিরোধী তৎপরতা কীসের আলামত

অন্তর্বর্তী সরকারের মধুমাস প্রায় শেষ। ছয় মাস বয়সী এই সরকারের কাছে বেশি বেশি জবাবদিহি চাওয়ার সময় হলো।গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত একটি সরকারের কাছে মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনেক। সে কারণে আমরা দেখছি, যে কোনো বিষয় নিয়েই দিনরাত রাস্তায় আন্দোলন করছে বিভিন্ন গোষ্ঠী।

কিন্তু একদিকে কয়েকটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে কয়েকজন দাঁড়িয়ে পড়লেই কখনও কখনও দাবি মানা হচ্ছে, অন্যদিকে যৌক্তিক দাবিতে সংগঠিত কোনো আন্দোলন সরকারের কাছ থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। যেমন পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনা কমিটি বাতিল করা হলো একটি বিশেষ গোষ্ঠীর হুমকি শুনে। কয়েকটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্রাফিতি তুলে নেওয়া হলো পাঠ্যপুস্তক থেকে। কিন্তু অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রের স্মারক সেই গ্রাফিতি পুনর্বহালে আদিবাসী এবং সমমনা শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে দমন করা হলো। এসবের মাধ্যমে স্পষ্টত একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকেই আশকারা দিচ্ছে সরকার। 

এখন এই আশকারা সমাজে গেড়ে বসা পুরুষতন্ত্রকে আরও চাঙ্গা করছে। বিশেষ করে বিভিন্ন পেশার নারীকে হেনস্তা, তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং পেশায় বাধা দেওয়া এবং তা করা হচ্ছে বিভিন্ন তকমা দিয়ে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বিনোদন জগতের তারকারা। এর সঙ্গে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন নারী ফুটবলাররা। গত ২৮ জানুয়ারি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারী ফুটবল ম্যাচ বাতিলের ঘটনা তারই প্রমাণ।

‘তৌহিদি জনতা’, ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’ ও ‘এক দল যুবক’ নামে ব্যানার টানিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর শক্তি প্রদর্শনের ঘটনা গত সরকারের সময়ও দেখা গেছে। তবে গত আগস্ট মাস থেকে তা যেন এক প্রকার বল্গাহীন। গত বছরের ২৯ আগস্ট বিভিন্ন এলাকায় যৌনকর্মীদের ‘এক দল যুবক’ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। এমনকি শ্যামলীতে যৌনকর্মীদের লাঠি নিয়ে একজন পুরুষ ধাওয়া করছে, সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মিডিয়াতে জায়গা পাওয়া সেই ‘এক দল যুবক’-এর কর্তৃত্ববাদিতার উৎস নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি না হওয়াতেই পরবর্তী ঘটনাগুলো ঘটেছে। 

আমরা দেখেছি, সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে নারীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করাচ্ছে সেই ‘এক দল যুবক’। সেই নারী কানে হাত দিয়ে ওঠবস করতে না চাইলে উপস্থিত যুবকরা লাঠি দিয়ে তাঁকে আঘাত করে। এটি করেও মেটেনি পুরুষতান্ত্রিক ক্ষোভ; সেই নারী নির্যাতনের পুরো ঘটনা ভিডিও করে তা ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়। সেই ‘এক দল যুবক’ পুলিশের সামনেই তা করছিল।

ওইসব ঘটনার ধারাবাহিকতায়ই আমরা ২ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি লাইফস্টাইল পণ্যের শোরুম উদ্বোধন করতে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে বাধা পেতে দেখেছি। গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে রুখে দেওয়া হয় আরও দু’জন অভিনেত্রীকে। গত ২৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে একটি শোরুম উদ্বোধন করতে যেতে পারেননি অভিনেত্রী পরীমণি। ২৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করতে পারেননি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। 

পেশা নির্বাচনের অধিকার সবারই আছে। এই ‘তৌহিদি জনতা’, ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’ ও ‘এক দল যুবক’ নামের ব্যানারগুলো কেন নারীর বিপক্ষে সক্রিয় হচ্ছে? এগুলো আসলে কাদের ব্যানার? ৩০ জানুয়ারি বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর কেউ দিতে পারেননি। অর্থাৎ সাধারণভাবে তাদের কোনো দলীয় পরিচয়ে সংজ্ঞায়িত করা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসনের বক্তব্যে একটি বিষয় স্পষ্ট, এই তৌহিদি জনতা বিভিন্ন ইসলামভিত্তিক দলের সদস্য, কর্মী বা সমর্থক।’

বস্তুত এগুলোর কোনোটিই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সবই একটি গোষ্ঠীর নারীর ‘আদর্শ’ চরিত্র চিত্রণ চেষ্টারই ফল। এ কারণেই একদিকে নারীকে ‘বেশ্যা’ বা ‘খারাপ নারী’ হিসেবে তকমা দেওয়ার অতি পুরোনো কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী পুরুষালি রাজনীতি, অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হিজাব র‍্যালি’র মধ্য দিয়ে ‘আদর্শ নারী’র ইমেজ উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে। 

প্রশ্ন হলো, অন্তর্বর্তী সরকার এসব ব্যানারের বিষয়ে নতজানু কেন? এরা কি তবে সরকারেরই অংশ? এ প্রশ্ন তোলার কারণ ‘তৌহিদি জনতা’, ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’, ‘এক দল যুবক’ কিংবা ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামে ব্যানারভিত্তিক সংগঠনগুলো নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার নয়। যদি এসব ব্যানার সম্পর্কে সরকার কিছুই না জানে, তাহলে তাদের দাবি পূরণে এত আগ্রহ কেন? তারা কেন সরকার থেকে আশকারা পাচ্ছে? তবে কি মুখে বারবার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের কথা বললেও ছয় মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকার একটি গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি? গণঅভ্যুত্থানের চেতনা হিসেবে বহুল উচ্চারিত সামাজিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার, সমতা, দরদ; সবই ফাঁপা বুলি? 

আমরা দেখছি কোনো আন্দোলন তৈরি হলে সেটি থামাতে ছাত্রদের যেতে হয়। অন্যদিকে স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রদের দল গঠনের কথা বলছেন। ‘তৌহিদি জনতা’, ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’ ও ‘এক দল যুবক’-এর মতো ব্যানার হঠাৎ আবির্ভূত হওয়ার সঙ্গে এসবের সম্পর্ক আছে। এসব সম্পর্ক রাজনৈতিক।

জয়পুরহাটে মেয়েদের খেলা যারা বন্ধ করেছেন, তাদের কারও কারও বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। বাধাদানকারীদের কেউ কেউ নিজেদের ‘অনুতপ্ত’ হওয়ার কথা জানিয়ে মেয়েদের খেলাধুলা করতে বাধা নেই বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। আপাতত এই ‘অনুতপ্ত’ হওয়া নিছক রাজনৈতিক বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। যদি সামনের দিনে ‘তৌহিদি জনতা’, ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’ ও ‘এক দল যুবক’ নামে কোনো ব্যানার এসে নারীর গতিরোধ বা নারীর ওপর কোনো ধরনের ‘নৈতিক নজরদারি’র ঘটনা না ঘটায় তাহলেই প্রমাণিত হবে– এই গোষ্ঠী আসলেই ‘অনুতপ্ত’। 

এগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারও তার ‘আদর্শিক’ অবস্থান পরিষ্কার করবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা। মনে রাখতে হবে, ওপরে বর্ণিত ঘটনাগুলো ব্যক্তির সংবাদস্বীকৃত নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার স্পষ্টতই বিপক্ষে। এসব অব্যাহত থাকলে সংস্কারের নামে প্রস্তাবিত বহুত্ববাদ, দায়-দরদ, ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার প্রাপ্যতা, মানমর্যাদা অতীতের মতোই ‘শুক পাখি’ হয়ে উড়বে। 

জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
zobaidanasreen@gmail.

com

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে সরকারের প্রতি বিজিএমইএর আহবান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দেওয়ায় দেশের রপ্তানিমুখী খাতগুলোতে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শুল্কনীতি পুনর্বিবেচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

রোববার রাজধানীর এক হোটেলে সংগঠনটির বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এবং বাংলাদেশের রপ্তানি: প্রভাবমূল্যায়ন এবং কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো নিরূপণ’ শীর্ষক এক সংলাপের আয়োজন করা হয়। এতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৩৭% শুল্ক আরোপ করার ফলে বিভিন্নখাতে কি কি প্রভাব পড়বে, সেগুলো মূল্যায়ন করা হয় এবং করণীয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংলাপ সভায় অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআই এর প্রশাসক হাফিজুর রহমান, বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা, সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হক, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিকেএমইএএর সভাপতি মো. হাতেম, সাবেক সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, পিআরআই'র ড. জাহিদী সাত্তার, র‍্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক, সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, চৈতি কম্পোজিটলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম, ড. মোস্তফা আবিদ খান প্রমুখ। 

সভায় রপ্তানিকারকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ কর আরোপের ফলে পোশাক শিল্পসহ রপ্তানি খাতগুলো চরম সংকটের মুখে পড়বে। পাশাপাশি, শুল্ক বাড়ানোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশের পণ্যগুলোর দাম বাড়বে, ফলে পণ্যের চাহিদা কমবে এবং বাজারে প্রতিযোগিতা তীব্রতর হবে। 

সংলাপে রপ্তানিকারকরা অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার জন্য এর যৌক্তিক সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য করণীয়গুলো নিয়েও মতবিনিময় করেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর উপদেষ্টা, শীর্ষ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং সংলাপে সকলেই আশা করেন যে, সরকার দ্রুততার সাথে একটি একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের উপায় বের করবে।

সংলাপে বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকগন মত প্রকাশ করে বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো ইতিমধ্যেই সমন্বয় প্রক্রিয়ায় অনেক দূর এগিয়েছে। তারা আশা করেন, বাংলাদেশ সরকারও দ্রুততার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি নির্বিঘ্ন রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

তারা বলেন, আমেরিকায় কটন, ভোজ্যতেল, গমসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা আছে বাংলাদেশের বাজারে। শুল্ক যৌক্তিক করণের মাধ্যমে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হতে পারে। তারা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্য সরকারকে শূল্কনীতি পুনর্বিবেচনা এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন শুল্ক প্রত্যাহারে রাজি করানোর আহবান জানান।

উল্লেখ্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের রপ্তানি আয় মোট আয়ের এক-পঞ্চমাংশ হলেও একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাংলাদেশী পণ্যের বহুমুখীকরণ ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সভায় ব্যবসায়ীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে সরকার বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য লজিস্টিক খাতে ব্যয় হ্রাস, কাস্টমস প্রক্রিয়াগুলো সহজীকরন ও শুল্ক নীতিগুলোর যৌক্তিকীকরণ করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে মহাসড়কে অটোরিকশার বিরুদ্ধে বিআরটিএ পুলিশের তৎপরতা 
  • কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে সরকারের প্রতি বিজিএমইএর আহবান