Samakal:
2025-02-06@01:48:21 GMT

নারীবিরোধী তৎপরতা কীসের আলামত

Published: 6th, February 2025 GMT

নারীবিরোধী তৎপরতা কীসের আলামত

অন্তর্বর্তী সরকারের মধুমাস প্রায় শেষ। ছয় মাস বয়সী এই সরকারের কাছে বেশি বেশি জবাবদিহি চাওয়ার সময় হলো।গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত একটি সরকারের কাছে মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনেক। সে কারণে আমরা দেখছি, যে কোনো বিষয় নিয়েই দিনরাত রাস্তায় আন্দোলন করছে বিভিন্ন গোষ্ঠী।

কিন্তু একদিকে কয়েকটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে কয়েকজন দাঁড়িয়ে পড়লেই কখনও কখনও দাবি মানা হচ্ছে, অন্যদিকে যৌক্তিক দাবিতে সংগঠিত কোনো আন্দোলন সরকারের কাছ থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। যেমন পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনা কমিটি বাতিল করা হলো একটি বিশেষ গোষ্ঠীর হুমকি শুনে। কয়েকটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্রাফিতি তুলে নেওয়া হলো পাঠ্যপুস্তক থেকে। কিন্তু অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রের স্মারক সেই গ্রাফিতি পুনর্বহালে আদিবাসী এবং সমমনা শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে দমন করা হলো। এসবের মাধ্যমে স্পষ্টত একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকেই আশকারা দিচ্ছে সরকার। 

এখন এই আশকারা সমাজে গেড়ে বসা পুরুষতন্ত্রকে আরও চাঙ্গা করছে। বিশেষ করে বিভিন্ন পেশার নারীকে হেনস্তা, তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং পেশায় বাধা দেওয়া এবং তা করা হচ্ছে বিভিন্ন তকমা দিয়ে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বিনোদন জগতের তারকারা। এর সঙ্গে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন নারী ফুটবলাররা। গত ২৮ জানুয়ারি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারী ফুটবল ম্যাচ বাতিলের ঘটনা তারই প্রমাণ।

‘তৌহিদি জনতা’, ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’ ও ‘এক দল যুবক’ নামে ব্যানার টানিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর শক্তি প্রদর্শনের ঘটনা গত সরকারের সময়ও দেখা গেছে। তবে গত আগস্ট মাস থেকে তা যেন এক প্রকার বল্গাহীন। গত বছরের ২৯ আগস্ট বিভিন্ন এলাকায় যৌনকর্মীদের ‘এক দল যুবক’ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। এমনকি শ্যামলীতে যৌনকর্মীদের লাঠি নিয়ে একজন পুরুষ ধাওয়া করছে, সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মিডিয়াতে জায়গা পাওয়া সেই ‘এক দল যুবক’-এর কর্তৃত্ববাদিতার উৎস নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি না হওয়াতেই পরবর্তী ঘটনাগুলো ঘটেছে। 

আমরা দেখেছি, সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে নারীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করাচ্ছে সেই ‘এক দল যুবক’। সেই নারী কানে হাত দিয়ে ওঠবস করতে না চাইলে উপস্থিত যুবকরা লাঠি দিয়ে তাঁকে আঘাত করে। এটি করেও মেটেনি পুরুষতান্ত্রিক ক্ষোভ; সেই নারী নির্যাতনের পুরো ঘটনা ভিডিও করে তা ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়। সেই ‘এক দল যুবক’ পুলিশের সামনেই তা করছিল।

ওইসব ঘটনার ধারাবাহিকতায়ই আমরা ২ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি লাইফস্টাইল পণ্যের শোরুম উদ্বোধন করতে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে বাধা পেতে দেখেছি। গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে রুখে দেওয়া হয় আরও দু’জন অভিনেত্রীকে। গত ২৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে একটি শোরুম উদ্বোধন করতে যেতে পারেননি অভিনেত্রী পরীমণি। ২৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করতে পারেননি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। 

পেশা নির্বাচনের অধিকার সবারই আছে। এই ‘তৌহিদি জনতা’, ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’ ও ‘এক দল যুবক’ নামের ব্যানারগুলো কেন নারীর বিপক্ষে সক্রিয় হচ্ছে? এগুলো আসলে কাদের ব্যানার? ৩০ জানুয়ারি বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর কেউ দিতে পারেননি। অর্থাৎ সাধারণভাবে তাদের কোনো দলীয় পরিচয়ে সংজ্ঞায়িত করা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসনের বক্তব্যে একটি বিষয় স্পষ্ট, এই তৌহিদি জনতা বিভিন্ন ইসলামভিত্তিক দলের সদস্য, কর্মী বা সমর্থক।’

বস্তুত এগুলোর কোনোটিই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সবই একটি গোষ্ঠীর নারীর ‘আদর্শ’ চরিত্র চিত্রণ চেষ্টারই ফল। এ কারণেই একদিকে নারীকে ‘বেশ্যা’ বা ‘খারাপ নারী’ হিসেবে তকমা দেওয়ার অতি পুরোনো কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী পুরুষালি রাজনীতি, অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হিজাব র‍্যালি’র মধ্য দিয়ে ‘আদর্শ নারী’র ইমেজ উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে। 

প্রশ্ন হলো, অন্তর্বর্তী সরকার এসব ব্যানারের বিষয়ে নতজানু কেন? এরা কি তবে সরকারেরই অংশ? এ প্রশ্ন তোলার কারণ ‘তৌহিদি জনতা’, ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’, ‘এক দল যুবক’ কিংবা ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামে ব্যানারভিত্তিক সংগঠনগুলো নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার নয়। যদি এসব ব্যানার সম্পর্কে সরকার কিছুই না জানে, তাহলে তাদের দাবি পূরণে এত আগ্রহ কেন? তারা কেন সরকার থেকে আশকারা পাচ্ছে? তবে কি মুখে বারবার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের কথা বললেও ছয় মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকার একটি গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি? গণঅভ্যুত্থানের চেতনা হিসেবে বহুল উচ্চারিত সামাজিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার, সমতা, দরদ; সবই ফাঁপা বুলি? 

আমরা দেখছি কোনো আন্দোলন তৈরি হলে সেটি থামাতে ছাত্রদের যেতে হয়। অন্যদিকে স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রদের দল গঠনের কথা বলছেন। ‘তৌহিদি জনতা’, ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’ ও ‘এক দল যুবক’-এর মতো ব্যানার হঠাৎ আবির্ভূত হওয়ার সঙ্গে এসবের সম্পর্ক আছে। এসব সম্পর্ক রাজনৈতিক।

জয়পুরহাটে মেয়েদের খেলা যারা বন্ধ করেছেন, তাদের কারও কারও বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। বাধাদানকারীদের কেউ কেউ নিজেদের ‘অনুতপ্ত’ হওয়ার কথা জানিয়ে মেয়েদের খেলাধুলা করতে বাধা নেই বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। আপাতত এই ‘অনুতপ্ত’ হওয়া নিছক রাজনৈতিক বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। যদি সামনের দিনে ‘তৌহিদি জনতা’, ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’ ও ‘এক দল যুবক’ নামে কোনো ব্যানার এসে নারীর গতিরোধ বা নারীর ওপর কোনো ধরনের ‘নৈতিক নজরদারি’র ঘটনা না ঘটায় তাহলেই প্রমাণিত হবে– এই গোষ্ঠী আসলেই ‘অনুতপ্ত’। 

এগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারও তার ‘আদর্শিক’ অবস্থান পরিষ্কার করবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা। মনে রাখতে হবে, ওপরে বর্ণিত ঘটনাগুলো ব্যক্তির সংবাদস্বীকৃত নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার স্পষ্টতই বিপক্ষে। এসব অব্যাহত থাকলে সংস্কারের নামে প্রস্তাবিত বহুত্ববাদ, দায়-দরদ, ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার প্রাপ্যতা, মানমর্যাদা অতীতের মতোই ‘শুক পাখি’ হয়ে উড়বে। 

জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
zobaidanasreen@gmail.

com

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ জগতে মেরূকরণ, হত্যা হামলা বেড়েছে খুলনায়

খুলনায় সন্ত্রাসীদের মেরূকরণ হয়েছে। দীর্ঘদিন পর এলাকায় ফিরে নতুন করে সংগঠিত হয়েছে সন্ত্রাসী পলাশ গ্রুপের সদস্যরা। পুরোনো সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু, আশিক বাহিনীর অনুসারীদের মধ্যে প্রায়ই তাদের সংঘাত হচ্ছে। নগরীতে সশস্ত্র মহড়া, প্রকাশ্যে খুনের ঘটনাও বাড়ছে। মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বিগত দিনে হামলা ও হত্যার প্রতিশোধ, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খুন-সংঘাত বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা সন্ত্রাসীদের অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) তথ্য বলছে, গেল নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে খুলনা মহানগরীতে ১০টি খুনের মামলা হয়েছে। বছরের শেষ ৬ মাসে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ২৩টি। অন্যদিকে ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে খুন হয়েছিল মাত্র একটি। শেষ ৬ মাসে হত্যা মামলা ছিল ১১টি। গত জানুয়ারি মাসেই দুটি হত্যা এবং ৬ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে জখম করা হয়েছে। 
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খুলনায়ও পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ে। এই সুযোগে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতারা এলাকায় ফিরে আসে। অনেকে জেল থেকে ফিরে আগের তৎপরতায় জড়িয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
কর্মকর্তারা জানান, ৫ আগস্টের আগে খুলনায় গ্রেনেড বাবু, আশিক ও নূর আজিম গ্রুপের তৎপরতা ছিল বেশি। এর মধ্যে আশিক ও নূর আজিম নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় তৎপরতা চালাত। কিন্তু নগরজুড়ে আধিপত্য ছিল গ্রেনেড বাবুর তৈরি ‘বি কোম্পানির’। নগরীর মাদক সিন্ডিকেটের বড় অংশ ছিল তার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। 
গত ১ জানুয়ারি নূর আজিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আশিকের ভাই সজীবসহ পরিবারের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তালিকায় নাম থাকায় দেশে ফেরেনি শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু। শক্তি প্রদর্শন করতে তৎপর হয়ে ওঠে পলাশ গ্রুপ। গত দুই মাসে ৯ জনকে কোপানাে ও ৩ খুনে গ্রুপটির নাম এসেছে।
সন্ত্রাসীদের তৎপরতার বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন এমন দুই ব্যক্তি জানান, মাত্র দুই মাসের মধ্যে বাহিনী তৈরি করে বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে পলাশ গ্রুপ। দেশি ও বিদেশি অস্ত্র, লোকবল তৈরি করে তার উত্থান অবিশ্বাস্য রকম দ্রুততার সঙ্গে ঘটেছে। গ্রেনেড বাবুর সঙ্গে বিরোধ ছিল এমন সন্ত্রাসী ট্যাঙ্কি শাওন, কালা লাভলু এবং দেলোও পলাশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এছাড়া পুরোনো সন্ত্রাসী সুমন শেখ ওরফে বোমা সুমন, কালা রনি, দাদো মিজান সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ১২  সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আরও অভিযান চলছে। 
আলোচিত ৫ খুন, মামলা গতিহীন
গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের ১০টি খুনের মধ্যে রিকশাচালক তাসিনুরকে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই, হরিণটানার কৃষ্ণপদ হত্যা, অজ্ঞাত দুটি লাশ উদ্ধার এবং সাবেক এমপি মন্নুজান সুফিয়ানের ভাগনে রূপম হত্যা মামলার সুরাহা হয়েছে। অন্য ৫টি মামলা নিয়ে আলোচনা চলছে নগরজুড়ে। এসব মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৪২ জন। এর মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ২ নভেম্বর রাতে নগরীর আলকাতরা মিল এলাকায় সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে আশিকুর রহমান ওরফে পঙ্গু রাসেলকে হত্যা করে। 
গত ২৯ নভেম্বর রাতে নগরীর টুটপাড়া এলাকায় গুলি ছুড়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন মোল্লা বোয়িংকে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, আশিকের ভাই সজীবসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৮ ডিসেম্বর হাজী মুহসীন রোডে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে রংমিস্ত্রি মো. সোহেলকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তৈমুর ইসলাম বলেন, ফাকাব্বির পলাশ গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। অন্যরাও একই গ্রুপের। 
গত ২০ জানুয়ারি পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় ২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মানিক হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মেহেদী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। 
সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি রাতে নগরীর তেঁতুলতলা মোড়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকারকে হত্যা করে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও পলাশ গ্রুপ জড়িত।
কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের টহল, চেকপোস্ট, গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হয়েছে। খুব শিগগির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপরাধ জগতে মেরূকরণ, হত্যা হামলা বেড়েছে খুলনায়