সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীর হামলা
Published: 6th, February 2025 GMT
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে এটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাবেদ আখতারের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিন দশকের বেশি সময় আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগে করা মামলার রায় গতকাল দুপুরে ঘোষণা করা হয়। এ উপলক্ষে বিএনপি নেতাকর্মীরা আদালত ও আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে গণমাধ্যমকর্মীরা মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ দলটির পাবনা জেলার নেতাকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে এক যুবক সংবাদ ব্রিফিংয়ের জন্য সংরক্ষিত ডায়াসের সামনে চলে আসেন। এ নিয়ে ওই যুবক সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। মুহূর্তের মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন এবং কিল-ঘুসি ও লাথি মারেন। এতে কয়েকজন আহত হন।
বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস পরিস্থিতি শান্ত করেন। কায়সার কামাল মারধরের শিকার জাবেদ আখতারকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাম্বুলেন্সে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে পাঠান। এরপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকরা ব্রিফিং বর্জন করে হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে ব্রিফিংস্থলে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান জাবেদ ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন। বিবৃতিতে তারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা কোনোভাবে কাম্য নয়। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
জাবেদ আখতারের বিষয়ে বলা হয়, তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে সংগঠনের সদস্য জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম পান্নু, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান জাবেদসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা টেলিভিশনের মাইক্রোফোনও ভাঙচুর করেছে। আহত তিন সাংবাদিক এলআরএফের সদস্য। তাদের মধ্যে জাবেদ আখতার সংগঠনের প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ব দ আখত র ন ত কর ম র র স মন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
আরেকজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ, দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রণালয়ে
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় আরও একজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে বিশেষ সহকারী করা হয়েছে। তাঁকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি অর্থ উপদেষ্টাকে সহায়তা করবেন।
আজ সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারে এখন উপদেষ্টা ২৩ জন। তাঁদের মধ্যে অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) গত বুধবার উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারে এখন উপদেষ্টার পদমর্যাদায় একজন বিশেষ সহকারী (প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক), একজন বিশেষ দূত (আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত) এবং একজন হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত) রয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় পাঁচজন বিশেষ সহকারী ছিলেন। সর্বশেষ গত বুধবার শেখ মইনউদ্দিনকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ সহকারী করা হয়েছে। অবশ্য এই পাঁচজনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম আজ পদত্যাগ করেছেন।