জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভেঙেছেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলকও খুলে ফেলেছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের দিকে যান শিক্ষার্থীরা। পরে ইনস্টিটিউটটের দেয়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও শেখ হাসিনা হলের সামনে থাকা হাসিনার ম্যুরাল ভেঙেন ফেলে তারা। পরে আল-বেরুনী হলের দেয়ালে আঁকা বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতিও রঙ দিয়ে মুছে দেন তারা৷

এরপর কিছু শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভাঙচুর করতে আসলে ওই হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাধা দেন। তারা জানান তাদের হলের বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। এ সময় হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও নামফলক ভাঙচুর করতে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর রাত দুইটার দিকে শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়ে হলের নামফলক খুলে ফেলেন।

ইয়াহিয়া জিসান নামের একজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা পলায়নের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি। অথচ আমরা বিভিন্ন দেশে দেখেছি যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, গুম-খুন করেছে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি বলে এখন আওয়ামী লীগের দোসরেরা বিভিন্ন জায়গায় মাথা ছাড়া দিচ্ছে। আজ খুনি হাসিনা ভারত থেকে বক্তব্য দেওয়ার দুসাহস দেখাচ্ছে। আমরা নতুন বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিবাদ দেখতে চাই না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় কোনো ফ্যাসিস্টের চিহ্ন থাকতে পারে না। তাই ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও মুজিবের সব স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা একটা বার্তা দিতে চাই বাংলাদেশে কোন ব্যক্তিকে পুঁজি করে যেন আর ফ্যাসিস্ট কাঠামো গড়ে উঠতে না পারে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ খ ম জ ব র রহম ন ন ষ দ ধ কর র র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

আরও নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-মেনন-দীপু মনিসহ ৯ জন

আরও নতুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুসহ ৯ জনকে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।

গ্রেপ্তার দেখানো অপর ছয়জন আসামি হলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এ কে এম শহিদুল হক ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আজ সকাল আটটার পর কারাগার থেকে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। এরপর সকাল ১০টার পর তাঁদের একে একে হাজতখানা থেকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতকক্ষে নেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর শুনানি শেষ হলে তাঁদের আবার হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসানকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর গত বছরের ১৩ আগস্ট প্রথম গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান। পরে অন্যরা গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে ইনজুরিতে বাভুমা
  • রেকর্ড, রেকর্ড ও রেকর্ড
  • সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন, ‘এগুলো ওঠাও’
  • জ্যোতির প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ইতিহাস
  • টানা চার জয়ে শীর্ষে গুজরাট
  • বার্সেলোনার তাণ্ডবে ডর্টমুন্ড বিধ্বস্ত, সেমিফাইনালে এক পা
  • কুষ্টিয়ায় চালকল মা‌লিক স‌মি‌তির সভাপ‌তির বা‌ড়ি লক্ষ‌্য ক‌রে গু‌লি
  • হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • ‘ভালো নেই’ জানিয়ে দোয়া চাইলেন সাবেক আইজিপি শহীদুল হক
  • আরও নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-মেনন-দীপু মনিসহ ৯ জন