ফেনীতে যুবদলের সাবেক এক নেতাকে অপহরণের জেরে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁরা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছাগলনাইয়া অংশের বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ওই নেতাকে উদ্ধারের পর রাত পৌনে একটার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ছাগলনাইয়া উপজেলার সমিতি বাজার এলাকায় যুবদলের নেতা আলাউদ্দিনকে অপহরণের জেরে এ বিক্ষোভের সূচনা হয়। তিনি ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জেরে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাগলনাইয়া উপজেলার গোপাল ইউনিয়নের সমিতি বাজার এলাকার একটি চা–দোকান থেকে আলাউদ্দিনকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আলাউদ্দিনের স্বজন ও বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সমিতি বাজার অংশ অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী উভয় লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

আলাউদ্দিনের ভাতিজা মেহেরাব উদ্দিন বলেন, ‘বালুমহালে বিরোধের জেরে আলমগীর সিদ্দিকী সশস্ত্র লোকজন নিয়ে তাঁর চাচাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। চাচার সন্ধানে মহাসড়কের অবস্থা নিয়েছি।’

সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ছাগলনাইয়া থানাধীন ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক শিমুল কুমার মহন্ত প্রথম আলোকে বলেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে এক পক্ষের লোকজন মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে যুবদলের ওই নেতাকে উদ্ধার করে। বিক্ষোভকারীরা এ খবর জানতে পেরে রাত পৌনে একটার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক অবর ধ য বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে পাহাড় থেকে ৫ কাঠুরিয়াকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কক্সবাজারের টেকনাফের একটি পাহাড় থেকে ৫ কাঠুরিয়াকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বাহার ছড়া ইউনিয়নের বাইন্যাপাড়া পাহাড় থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়ার বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মো. হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মো. আবু (২০)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির জানান, লাকড়ি সংগ্রহ করতে গেলে অস্ত্রের মুখে ১৫ জনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে ১০ জনকে ছেড়ে দিলেও এখনো ৫ জন অপহরণকারীদের কাছে রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, মুক্তিপণের জন্য পাঁচজনকে আটক রেখেছে অপহরণকারীরা। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, বিষয়টি তিনি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে অবহিত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের স্বজন বা কারও পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তারপরও ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে এবং তাদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনাফে পাহাড় থেকে ৫ কাঠুরিয়াকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি