ময়মনসিংহ নগরের সার্কিট হাউস মাঠসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর শুরু করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। আজ রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতুড়ি-শাবল নিয়ে ম্যুরাল ভাঙচুর শুরু হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলী হোসেন, জেলা কমিটির মুখপাত্র ফয়সাল ফারনিম, মহানগর কমিটির সদস্যসচিব আল নুর মো.

আয়াস, মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাফিউস রোহানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলী হোসেন বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পরও আবার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এ অপতৎপরতা দেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। তারই প্রতীক স্বরূপ ধানমন্ডির-৩২ নম্বরের মতো ময়মনসিংহেও স্বৈরাচারের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুরের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে ছাত্র-জনতা।’

অপরদিকে ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু হলের ‘মুজিব ম্যুরাল’। রাত ১১টার দিকে ভাঙচুর শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে থাকা শেখ মুজিবুর রহমান ও ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বুধবার রাতে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে শিশু ভ্যান চালককে গলাকেটে হত্যা

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মো. রিফাত (১২) নামে এক শিশু চালককে গলাকেটে হত্যা করে ভ্যানগাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজের ছয় দিন পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের নরকোনা গ্রামের একটি সরিষা খেত থেকে মাটি খুঁড়ে তার বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রিফাত উপজেলার কাতলসার গ্রামের মো. মফিজুল ইসলামের ছোট ছেলে। সে কাতলসার শহিদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি পরিবারের আর্থিক সংকট মেটাতে ভাড়ায় ভ্যানগাড়ি চালাত।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে পাশের বাড়ির এক ব্যক্তির অটোভ্যান নিয়ে ভাড়ায় চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় রিফাত। সে তার মাকে ভ্যানে করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পর সন্ধ্যায় আবার বেরিয়ে যায়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল।

পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে ২৯ জানুয়ারি নিহতের বড় ভাই আরিফ হোসেন মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান চালিয়ে রোববার রাতে উপজেলার জয়রামপুর এলাকা থেকে মো. শাহেদের ছেলে মো. মিরাজ (১৭) নামের একজনকে আটক করে।

গ্রেপ্তারকৃত মিরাজ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, সে রিফাতকে একটি ধানের মিলের খলায় নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে এবং ভ্যানগাড়িটি ছিনতাই করে। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে সরিষা ক্ষেতে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।

পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে সোমবার নরকোনা গ্রামের সরিষা খেত থেকে মাটি খুঁড়ে রিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, নিখোঁজের জিডি হওয়ার পর থেকেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। একজনকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পরই উত্তেজনা, জিপি আহত
  • নেত্রকোনায় মাকে ছেলের মারধর, শাসন করতে গিয়ে মামা খুন
  • মাছবাহী গাড়ির পানি ঝরে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক
  • কোরআন পোড়ানোর পরই রাবি থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত
  • লিফলেট বিতরণ করায় আ.লীগ নেতাকে বেঁধে পুলিশে সোপর্দ
  • ‘জেরিনের বড় ভাই দায়ী’ পোস্ট দিয়ে বাঙলা কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
  • ময়মনসিংহে শিশু ভ্যান চালককে গলাকেটে হত্যা
  • আরও ৯০ থানা-উপজেলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি কমিটি
  • বিএনপির কমিটি ঘোষণার পর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ৫