Prothomalo:
2025-02-05@21:56:20 GMT

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সারজিস আলম

Published: 5th, February 2025 GMT

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সারজিস আলমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের শিক্ষার্থী শুভ হাওলাদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সারজিস আলম নিজেই প্রাইভেট কার চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে বাংলামোটরের দিকে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামনে এলে একটি শিশু গাড়ির সামনে এসে পড়ে। তখন গাড়িটি সজোরে ব্রেক করলে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সারজিস আলম আহত হন। তাঁর বাঁ চোখের পাশে কেটে গেছে। এ ছাড়া মাথায় সামান্য আঘাত লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.

ফারুক বলেন, আহত সারজিস আলম ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর আঘাত গুরুতর নয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শুকনো কাশি হলে কী করবেন

প্রকৃতিতে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। শীত জাঁকিয়ে বসলেও অনেকে নানা রকম শীতের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে অ্যালার্জি, সর্দি-কাশি অন্যতম। এ সময় কাশি হলে সহজে সারতে চায় না। কাশির সঙ্গে কফ বের হয় না বললেই চলে। কাশির কারণে ঘুমানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। গলার মধ্যে অস্বস্তি লাগে।

কাশতে কাশতে গলায় ব্যথা হয়ে যায়। শীতের দিনে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে, রাস্তাঘাটে বাড়ে ধুলাবালি। এসব কারণে কাশি বাড়ে। ধূমপায়ী ও হাঁপানি আক্রান্তদের শীতে কাশির তীব্রতা বাড়ে। এ ছাড়া শিশুরা ব্রঙ্কিওলাইটিস, বয়স্করা ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কিয়েকটেসিসে আক্রান্ত হলেও কাশি বাড়ে। এসব ক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে কফ থাকে। জ্বরও থাকতে পারে। 

সাধারণ কাশি নির্দিষ্ট সময় পর আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। ঠান্ডা লাগলে কাশি বাড়ে। তাই ঠান্ডা পরিহার করতে হবে। বাইরে বেরোলে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরুন। বেশি ঠান্ডা পড়লে মাথায় টুপি বা মাফলার পরতে ভুলবেন না। ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন। বাইরে গেলে মাস্ক পরে নিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। খুব ভোরে বা বেলা পড়ে গেলে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খাবেন না। কুসুম গরম পানি পান করতে পারলে ভালো। 

কাশি হলে কুসুম গরম পানি, আদার রস, তুলসী পাতার রস, লবঙ্গ, লেবুর রস, মধু মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যাবে। বিশ্রাম নিলেও কাশি কমে যায়। কাশি বেশি হলে ব্রঙ্কোডায়লেটর (ব্রডিল), অ্যান্টিহিস্টামিন, কফ সাপ্রেসেন্ট ওষুধ সেবন করলে কাশি তাড়াতাড়ি ভালো হয়। এ ধরনের কাশিতে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। তবে জ্বর এলে, শ্বাসকষ্ট বেশি হলে, লালচে বা হলুদ রঙের কফ, কাশির সঙ্গে রক্ত পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, ধূমপান বাদ দিন। কাশি প্রতিরোধ বা এর তীব্রতা কমানোর জন্য নিউমোনিয়া (তিন বছর পরপর) ও ফ্লুর (প্রতিবছর) টিকা বয়স্করা নিতে পারেন। বাংলাদেশের সর্বত্র এ টিকা পাওয়া যায়।

শীতের শুরুতে হাঁপানি আক্রান্তদের কাশি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়। তাই অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন হয়। তবে ভাইরাস দিয়েও কোনো কোনো সময় তাদের কাশি হতে পারে। এতে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের জন্য কাশির তীব্রতা অনুযায়ী স্টেরয়েড ইনহেলার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং সালবিউটামল ইনহেলার ঘন ঘন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কাশি দীর্ঘমেয়াদি হলে, ঘুমাতে সমস্যা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ