শেষ বলে দরকার চার রান। চিটাগং কিংসের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে উইকেটে আসা বাকি কেবল বিনুরা ফার্নান্দোর। আরেকজনও তখনো আউট হননি, কিন্তু তাঁর দৌড়ানোর সামর্থ্যও নেই। দুই বল আগেই রান নিতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম।

এরপর ম্যাচের আশা বাঁচিয়ে রাখা আলিসকে মাঠ ছাড়তে হয় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ব্যথা যে বেশ ভালোই পেয়েছিলেন, তা–ও বোঝা যাচ্ছিল। তবুও তাঁর প্রতিই আস্থা ছিল চিটাগংয়ের। ম্যাচ শেষে চিটাগংয়ের প্রতিনিধি হয়ে আসা খাজা নাফে জানিয়েছেন, দল থেকে আলিসের প্রতি বার্তা ছিল সোজাসাপ্টা, ‘তাকে বলা হয়েছিল, (মাঠে) গিয়ে রান না নিয়ে চার মারো—কারণ, শেষ বলে ওটাই দরকার ছিল।’

ওই আস্থার প্রতিদান আলিস দিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই। খুলনা টাইগার্সের মুশফিক হাসানের শেষ বলে চার মেরে দলকে তুলেছেন ফাইনালে। এরপর ব্যাট শূন্যে উড়িয়ে করেছেন উদ্‌যাপন। ফাইনালে ওঠার আনন্দে আত্মহারা হতে দেখা গেছে পুরো চিটাগং কিংসকেই; কিন্তু শেষ বলে আলিস চার মারতে পারবেন, এই ভরসা কতটা ছিল?

আলিস আল ইসলামের যে শটে নিশ্চিত হয় চিটাগংয়ের জয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ষ বল

এছাড়াও পড়ুন:

৯ উইকেটের বড় জয়ে ফাইনালে বরিশাল

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে নাম লেখায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (০৩ জানুয়ারি, ২০২৫) প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় চিটাগং-ফরচুন বরিশাল। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করে চিটাগং। তাড়া করতে নেমে ১৭.২ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল। 

তাওহীদ হৃদয় ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৫৬ বলে এই রান করেন হৃদয়। চলমান বিপিএলে এটি তার প্রথম ফিফটি। তার সঙ্গে মালান ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। তামিম ইকবাল ২৯ রান করে আউট হলে ভাঙে ৫৫ রানের জুটি। খালেদ আহমেদ ১ উইকেট নেন।

আরো পড়ুন:

সাধারণ ভাবনায় অসাধারণ নাসুম

ধাক্কা সামলে শামীম ঝড়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল চিটাগং

এর আগে খাজা নাফের চারে শুরু হয় চিটাগং কিংসের ইনিংস। পরের বলে আউট হয়ে ধাক্কা খায় বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।  এরপর ৩৪ রান না হতেই আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। এরপর হাল ধরেন শামীম পাটোয়ারি। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারে দলটি। 

শামীম সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন। ৯টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে ৪৭ বলে এই রান করেন তিনি। ফিফটির দেখা পান ২৯ বলে। পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে শামীমের ৭৭ রানের জুটি মূলত চিটাগংয়ের চেহারা বদলে দেয়। ইমন ৩৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হন। 

ইমন ছাড়া শুরুর পাঁচ ব্যাটারের চারজনই আউট হন দুই অঙ্কের ঘর ছোয়ার আগে। আর শেষের ৬ ব্যাটারের মধ্যে শামীমই একমাত্র দুই অঙ্কের ঘর পার হন। ১৯তম ওভারে ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ আলী। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন এই পেসার। এ ছাড়া কাইল মায়ার্স নেন ২ উইকেট।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে জয়পুরহাটের সেই মাঠে খেললেন নারী ফুটবলাররা
  • কোটচাঁদপুরে অতিরিক্ত টাকা দাবি, তোপের মুখে সাব-রেজিস্ট্রার
  • রাজশাহীতে শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • অভিনয়ে ধীরগতি, যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন এই নায়িকা
  • বিভিন্ন অপরাধে বুয়েটের ৮ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার
  • লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে
  • জামায়াত কর্মী হত্যার ১২ বছর পর আ.লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
  • ঢাকায় এসে নিখোঁজ সুবা, সিসি ক্যামেরায় যা দেখা গেল
  • ৯ উইকেটের বড় জয়ে ফাইনালে বরিশাল