দৌড়াতে পারবেন না, তবু আলিসের ওপর ভরসা ছিল চিটাগংয়ের
Published: 5th, February 2025 GMT
শেষ বলে দরকার চার রান। চিটাগং কিংসের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে উইকেটে আসা বাকি কেবল বিনুরা ফার্নান্দোর। আরেকজনও তখনো আউট হননি, কিন্তু তাঁর দৌড়ানোর সামর্থ্যও নেই। দুই বল আগেই রান নিতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম।
এরপর ম্যাচের আশা বাঁচিয়ে রাখা আলিসকে মাঠ ছাড়তে হয় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ব্যথা যে বেশ ভালোই পেয়েছিলেন, তা–ও বোঝা যাচ্ছিল। তবুও তাঁর প্রতিই আস্থা ছিল চিটাগংয়ের। ম্যাচ শেষে চিটাগংয়ের প্রতিনিধি হয়ে আসা খাজা নাফে জানিয়েছেন, দল থেকে আলিসের প্রতি বার্তা ছিল সোজাসাপ্টা, ‘তাকে বলা হয়েছিল, (মাঠে) গিয়ে রান না নিয়ে চার মারো—কারণ, শেষ বলে ওটাই দরকার ছিল।’
ওই আস্থার প্রতিদান আলিস দিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই। খুলনা টাইগার্সের মুশফিক হাসানের শেষ বলে চার মেরে দলকে তুলেছেন ফাইনালে। এরপর ব্যাট শূন্যে উড়িয়ে করেছেন উদ্যাপন। ফাইনালে ওঠার আনন্দে আত্মহারা হতে দেখা গেছে পুরো চিটাগং কিংসকেই; কিন্তু শেষ বলে আলিস চার মারতে পারবেন, এই ভরসা কতটা ছিল?
আলিস আল ইসলামের যে শটে নিশ্চিত হয় চিটাগংয়ের জয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ষ বল
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভালো নেই’ জানিয়ে দোয়া চাইলেন সাবেক আইজিপি শহীদুল হক
কারাগারে ‘ভালো নেই’ জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল হক।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে তিনি একথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সাজেদুর রহমান ওমর নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় শহীদুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য রাখেন। আজ শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
এরপর তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন শহীদুল হক বলেন, ‘ভালো নেই। দোয়া করবেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শহীদুল হককে। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।
শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান তিনি।
ঢাকা/মামুন/ইভা