শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে কুমিল্লায় মিছিল-সমাবেশ
Published: 5th, February 2025 GMT
‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, হাসিনারে ফাঁসি দে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, এমন নানা স্লোগানে কুমিল্লা নগরীতে রাস্তায় নেমেছে ছাত্র জনতা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে কুমিল্লায় তাৎক্ষণিক মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় নগরীর কান্দিরপাড়ে মিছিল শুরু করে ছাত্ররা। আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষণামতে, রাত ৯টা ৭ মিনিট থেকে ফেসবুকে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। কুমিল্লা টাউন থেকে রাত ৯টা ১১ মিনিট মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের মুখপাত্র জাবেদ আহাম্মেদ ভুইয়া, মুখ্য সংগঠক মোস্তফা জিহান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ওহি তাজওয়ার। এ সময় নাগরিক কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে বক্তব্য দেন নেতারা। এছাড়া নানা স্লোগানে বিচারের দাবিতে প্রকম্পিত হয় কান্দিরপাড়ের পূবালী চত্বর। পরে টাউন হল থেকে মিছিল বের হয়ে পূবালী চত্বরে গিয়ে সমাবেশ করে ছাত্ররা। বক্তব্যে কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, ‘হাসিনা হাজার মানুষ হত্যা করেছে। ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ কর্মীদের যেখানে পাবেন, পুলিশের হাতে তুলে দিবেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চীনে গেলেন রোগীদের প্রথম দল, খুলল চিকিৎসার নতুন দুয়ার
উন্নত চিকিৎসাসেবা নিতে চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল সোমবার চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে।
এদিন দুপুর আড়াইটায় ফ্লাইটে ১৪ রোগী, ৫ জন বাংলাদেশি চিকিৎসক, ৫ ট্রাভেল এজেন্ট ও ১ সাংবাদিকসহ ৩১ সদস্যের দল কুনমিং উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
দলটিকে বিদায় জানাতে এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দীন, কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেংসহ সংশ্লিষ্টরা।
কুনমিংয়ের পাবলিক হাসপাতাল, ইউননান কার্ডিওভাসকুলার হাসপাতাল, কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এবং ইউননান ক্যান্সার হাসপাতালসহ চারটি হাসপাতালে উন্নত প্রযুক্তি, মান, মেডিকেলসেবাসহ, বাংলা ও ইংরেজি দোভাষীসুবিধার সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা থাকবে বাংলাদেশিদের জন্য বলে জানান ইয়াও ওয়েন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, চাইনিজ এয়ারলাইন্স রোগীদের সুবিধার্থে স্বল্পমূল্যে বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করছে, চিকিৎসা ভিসা আরো সহজতর করতে দূতাবাস সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দীন বলেন, চীন বাংলাদেশ ৫০ বছরে এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সম্পর্কের নতুন এক অধ্যায় শুরু হল।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরে তিনি বিদেশে চিকিৎসা সমস্যায় বাংলাদেশিদের জন্য চীনকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন। তারই প্রেক্ষিতে চীন সরকার সেদেশের চারটি হাসপাতালে বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।
সফররত বাংলাদেশি চিকিৎসকরা সে দেশের চিকিৎসার ধরন, প্রযুক্তি ও মান সম্পর্কে অবগত হবেন এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ