‘আকিজ টেবিলওয়্যার আর্ট অব প্লেটিং’–এর দ্বিতীয় সিজনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই সিজনের চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার হিসেবে পাবেন ১০ লাখ টাকা। প্রথম রানারআপ পাবেন পাঁচ লাখ, দ্বিতীয় রানারআপ পাবেন তিন লাখ টাকা। শীর্ষ ৩০ প্রতিযোগী পাবেন ক্রেস্ট, সনদ, কালিনারি কোর্স, আকিজ টেবিলওয়্যারের বিশেষ ডিনার সেটসহ মোট ২০ লাখ টাকার পুরস্কার।

অংশগ্রহণকারীদের https://www.

aop.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অংশগ্রহণের শেষ সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর ও তথ্য জানানো হয়েছে।

আকিজ টেবিলওয়্যার আর্ট অব প্লেটিংয়ের দ্বিতীয় সিজন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান বিচারক শেফ ড্যানিয়েল সি গোমেজ, আকিজবশির গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং মো. শাহরিয়ার জামান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার মো. খোরশেদ আলমসহ আকিজ টেবিলওয়্যারের কর্মকর্তারা।

এবারের আয়োজনের নানা দিক তুলে ধরার পাশাপাশি ফুড প্লেটিংকে আর্ট ফর্ম হিসেবে বাংলাদেশে পরিচিত করা এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা মেধাবীদের জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসার সুযোগ করে দেওয়াই এই প্ল্যাটফর্মের মূল উদ্দেশ্য বলে জানান আয়োজকেরা।

শুরু হয়ে গেল ফুড প্লেটিং নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম রিয়েলিটি শো ‘আকিজ টেবিলওয়্যার আর্ট অব প্লেটিং’-এর দ্বিতীয় সিজনের কার্যক্রম

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ লাখ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালংকারের তথ্য মামলায় না থাকায় বাদীকে আদালতে তলব

কক্সবাজারের টেকনাফে একটি বাড়ি থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জব্দ করা ৩০ লাখ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালংকারের তথ্য মামলার এজাহারে উল্লেখ না করায় বাদীকে তলব করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আখতার জাবেদ এই আদেশ দিয়েছেন।

আদেশ অনুযায়ী, বাদীকে ১৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় আদালতে সশরীর হাজির হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী প্রথম আলোকে বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার আগে আদালতের আদেশের কপি টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনে পৌঁছানো হবে।

৩ এপ্রিল কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেকনাফের হ্নীলার আলীখালীতে ডাকাত হারুনের (মো. হারুন) বাড়িতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ছয়টি তাজা গুলি, পাঁচটি দেশি ধারালো অস্ত্র, ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা, দুটি ব্যাংকের চেক বই, ১০টি সিম কার্ড ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ১৯টি পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়। এ সময় হারুন ডাকাত যৌথ বাহিনীর অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে উদ্ধার অভিযানের ছবি ও ভিডিও পাঠানো হয়। তাতে (ছবি ও ভিডিওতে) অস্ত্র–গুলির সঙ্গে টাকা ও স্বর্ণালংকার দেখা যায়। ৩ এপ্রিল বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই অভিযানের সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের সদস্য কায়সার আহমেদ বাদী হয়ে ৩ এপ্রিল থানায় অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অপরাধে হারুন ডাকাতের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহার ও সঙ্গে দেওয়া জব্দ তালিকায় টাকা ও স্বর্ণালংকারের কথা উল্লেখ নেই। কেন নেই তিনি জানেন না।

আজ দেওয়া আদালতের আদেশে বলা হয়, ৮ এপ্রিল প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘কক্সবাজারে জব্দ টাকা ও স্বর্ণালংকারের তথ্য এজাহারে নেই’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মামলার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলামতের ছবি থাকলেও উদ্ধার ৩০ লাখ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালংকারের কোনো তথ্য এজাহার ও জব্দ তালিকায় উল্লেখ নেই। তাতে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, মামলার বাদী (কায়সার আহমেদ) অসৎ উদ্দেশ্যে উদ্ধার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিজের আয়ত্তে রেখেছেন।

এ প্রসঙ্গে ৮ এপ্রিল কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম–উল–হক প্রথম আলোকে বলেছিলেন, অনিবার্য কারণবশত জব্দ করা টাকা ও স্বর্ণালংকারগুলো শুল্ক বিভাগে জমা দিতে দেরি হয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে টেকনাফ শুল্ক গুদামে জব্দ টাকা ও স্বর্ণালংকার জমা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৮ এপ্রিল প্রথম আলোর অনলাইনে ‘কক্সবাজারে জব্দ টাকা ও স্বর্ণালংকারের তথ্য এজাহারে নেই, যা জানাল কোস্টগার্ড’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। তার আগের দিন পর্যন্ত জব্দ স্বর্ণালংকার ও টাকা শুল্ক বিভাগে জমা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ