ছয় বছর পর যশোর জেলা যুবদলের কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগের কমিটির সভাপতি এম তমাল আহমেদকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাকে সদস্যসচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। আজ বুধবার যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা যুবদলের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানোর জন্য ওই বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটির উল্লেখযোগ্য অন্য সদস্যরা হলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন, আমিনুর রহমান, নাজমুল হোসেন, আরিফুল ইসলাম, রাজিদুর রহমান ও মোহাম্মদ ইমদাদুল হক।

যুবদলের নেতারা জানান, ২০১৮ সালের ২ জুন এম তমাল আহমেদকে সভাপতি ও আনসারুল হক রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় কমিটি। দীর্ঘদিন নতুন করে কমিটি না হওয়ায় সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। দীর্ঘ ছয় বছর পর নেতৃত্ব দেওয়া জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেই আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব পদে বসিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। একটি সুন্দর কমিটি হয়েছে। এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ন দ র য় কম ট য বদল র কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বাউফলে কৃষকের তরমুজ লুটের ঘটনায় সমালোচিত সেই বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি অব্যাহতি

ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খানকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল জব্বার মৃধা ও সদস্যসচিব আপেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। একই চিঠিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একই কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রমিজ উদ্দিন হাওলাদারকে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হয়। পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব স্নেহাংসু সরকারের নির্দেশে এটির তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আপেল মাহমুদ বলেন, এর আগেও লুটতরাজের অভিযোগে তাঁকে (এনায়েত) লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। বরং আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি ও তাঁর দুই ছেলে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার খেত থেকে ৮৬০টি তরমুজ কেটে ট্রলারে উঠিয়ে বরিশালে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাউফল উপজেলার নদীবেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর রায়সাহেব এলাকার কৃষক মো. মানিক ব্যাপারী। দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেনের ছেলে মো. সাইফুল (৩৫) দেশি অস্ত্রসহ ২০-২৫ জনের একটি দল নিয়ে ট্রলারের চালককে মারধর করেন। এরপর চর রায়সাহেব থেকে তরমুজভর্তি ট্রলারটি ছিনিয়ে নিয়ে নিমদী লঞ্চঘাটের দক্ষিণ পাশে ইটভাটার কাছে নিয়ে নোঙর করে রাখেন। খবর পেয়ে কৃষক মানিক ব্যাপারী সেখানে গিয়ে ট্রলারসহ তরমুজ ফেরত চাইলে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাইফুল ও তাঁর লোকজন। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মানিক ব্যাপারী ও তাঁর ছেলে সাগরকে মারধর করে তরমুজ অন্য ট্রলারে উঠিয়ে নিয়ে যান সাইফুল। পরে ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে ট্রলার ফেরত দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় মো. মানিক ব্যাপারী বাদী হয়ে মো. সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৫ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে বাউফল থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ