আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মাঠে গড়াতে আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েক বাকি। তার আগে আজ বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) এই টুর্নামেন্টের আম্পায়ার ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। যে তালিকায় ১২ জন আছেন আম্পায়ার। তিনজন আছেন ম্যাচ রেফারি। তারা হলেন- ডেভিড বুন, রঞ্জন মাদুগালে ও অ্যান্ড্রু পাইক্রফট।

১২ জন আম্পায়ারের মধ্যে আছেন একজন বাংলাদেশিও। তিনি আর কেউ নন শারফদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এছাড়াও আছেন- কুমার ধর্মসেনা, ক্রিস গাফানি, মাইকেল গফ, আড্রিয়ান হোল্ডস্টোক, রিচার্ড ইলিংওর্থ, রিচার্ড কেটেলবরা, আহসান রেজা, পল রাইফেল, রড টাকার, আলেক্স ওয়ার্ফ ও জোয়েল উইলসন।

এর মধ্যে ৬ জন আম্পায়ার ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার মধ্যে কেটেলবরা ২০১৭ আসরের ফাইনালে মাঠে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যিনি এ পর্যন্ত ১০৮টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। তার সঙ্গে আছেন গাফানি, ধর্মসেনা, ইলিংওর্থ, রাইফেল ও টাকার। তারাও ২০১৭ আসরে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আরো পড়ুন:

‘স্ট্রেচার’ থেকে নেমে আলিসের ‘চার’, শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ফাইনালে চিটাগং

হেটমায়ার ঝড়ে শেষ চার ওভারে ৬৯, খুলনার চ্যালেঞ্জ

ধর্মসেনা এ পর্যন্ত ১৩২টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। যা শ্রীলঙ্কার কোনো আম্পায়ারের সর্বোচ্চ। এছাড়া কেটেলবরা ও ইলিংওর্থ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুষসহ গ্রেপ্তার নৌ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর ৩ বছরের দণ্ড

ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার নৌ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার এ কে এম ফখরুল ইসলামকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় দেন।

দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো দুই মাস কারাভোগ করতে হবে।

দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাজার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, এদিন এ কে এম ফখরুল ইসলাম আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

২০১৭ সালের ১৮ জুলাই মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে নিজের কার্যালয়ে বসে একটি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় ফখরুলকে আটক করে দুদক। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলায় বলা হয়, বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২২টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরে আবেদন করে। কিন্তু জাহাজের আকারভেদে প্রতি নকশা অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন সময়ে ৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন প্রকৌশলী একেএম ফখরুল ইসলাম। 

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল এমভি নওফেল লিহান জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন ফখরুল ইসলাম। ওই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বেঙ্গল মেরিন কর্তৃপক্ষ ওই বছর ১৮ জুলাই তাকে দাবিকৃত ঘুষ প্রদানে সম্মত হয়ে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করে। 

বিষয়টি জানার পর দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে বিশেষ টিম সকাল থেকে ওই ভবনের চারদিকে অবস্থান নেয়। এরপর ওইদিন বেলা ২টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের অথরাইজড পারসন এএনএম বদরুল আলমের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার পর ওই টাকাসহ হাতে নাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘুষসহ গ্রেপ্তার নৌ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর ৩ বছরের দণ্ড