খুলনায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘শেখ বাড়ি’। 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর ২৩ শেরেবাংলা রোডে অবস্থিত শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইদের বাড়ির সামনে ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে দুটি বুলডোজার নিয়ে প্রথমে বাড়ির প্রধান ফটক ও বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এসময় ‘শেখ বাড়ির আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’; স্বৈরাচারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’ এসব স্লোগান দিতে থাকে ছাত্র-জনতা।

গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণের ঘোষণা দেওয়ার প্রতিবাদে খুলনার শেখ বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রজনতা। 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দি‌কে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দিয়ে বাড়িটি ভাঙচুর শুরু করে ছাত্রজনতা।

এর আগে ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের ঘোষণা আসার ঘটনায় এর পাল্টা কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা শেখ বাড়ি ভাঙচুরের জন্য ‘বুলডোজার মিছিলের’ ডাক দেয় তারা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে দশটার সময়ও বাড়িটি ভাঙচুর চলছিল।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট খুলনার এই শেখ বাড়িতে হামলা চালায় ছাত্র-জনতা। সেদিন ছাত্রজনতার ক্ষোভে দফায় দফায় ভাঙচুরের পর আগুন দেয়া হয় বাড়িটিতে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকে খুলনার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক তাদের ফেসবুক পোস্টে ‘শেখ বাড়ির আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ পোস্ট দেওয়া হয়।

লাল প্রাচীরঘেরা নগরীর শেরেবাংলা রোডের দোতলা এই বাড়িটির আনুষ্ঠানিক কোনো নাম নেই, নেই কোনো নামফলক। কিন্তু সবাই একে ‘শেখ বাড়ি’ নামেই চেনেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো পাঁচ ভাইয়ের বাড়ি এটি। ৪ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার আগে এই বাড়িকে ঘিরে মাফিয়া গডফাদারদের স্টাইলে নিয়ন্ত্রণ করা হতো খুলনাসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, “বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইদের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। তারা সেখানে ভাঙচুর করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত র জনত

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহসহ বিভিন্নস্থানে শেখ মুজিবুরের ম্যুরাল ভাঙচুর, ভৈরবে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর

ময়মনসিংহ নগরের সার্কিট হাউস মাঠসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর শুরু করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। আজ রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতুড়ি-শাবল নিয়ে ম্যুরাল ভাঙচুর শুরু হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলী হোসেন, জেলা কমিটির মুখপাত্র ফয়সাল ফারনিম, মহানগর কমিটির সদস্যসচিব আল নুর মো. আয়াস, মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাফিউস রোহানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলী হোসেন বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পরও আবার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এ অপতৎপরতা দেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। তারই প্রতীক স্বরূপ ধানমন্ডির-৩২ নম্বরের মতো ময়মনসিংহেও স্বৈরাচারের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুরের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে ছাত্র-জনতা।’

অপরদিকে ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু হলের ‘মুজিব ম্যুরাল’। রাত ১১টার দিকে ভাঙচুর শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে থাকা শেখ মুজিবুর রহমান ও ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বুধবার রাতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ