সাভারের আশুলিয়ায় শিল্প পুলিশকে দুটি পিকআপ ভ্যান উপহার দিয়েছে হা-মীম গ্রুপ। বুধবার বিকেলে আশুলিয়ার নরসিংহপুরে গ্রুপের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করা হয়।

হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে এ জোনের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল মঈনের কাছ থেকে চাবি গ্রহণ করেন শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া। এ সময় শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.

কে. আজাদকে একটি সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

মোমিনুল ইসলাম বলেন, শিল্প পুলিশ সীমিত লোকবল ও সক্ষমতা দিয়ে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায়ে নিরলসভাবে কাজ করছে। মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক তৈরিতে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোর সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ রক্ষায় গাড়ি দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আব্দুল মঈন বলেন, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যে কোনো অসন্তোষ নিরসন, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ও সম্পদের নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশ-১-এর সদস্যরা কাজ করছেন। তাদের টহল কার্যক্রম জোরদারে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদের উদ্যোগে দেওয়া প্রায় ৭৫ লাখ টাকার পিকআপ ভ্যান দুটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে শিল্প পুলিশ-১-এর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

এ সময় হা-মীম গ্রুপের আশুলিয়া জোনের নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) এম এন কবির, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. আকতারুজ্জামান, মেজর (অব.) মো. আওরঙ্গজেব, মেজর (অব.) মো. আনিসুজ্জামান আনিস, জেনারেল ম্যানেজার মাসুদুর রহমান, কাজী রাফিউদ্দিন আহমেদ, লোকমান হোসেন, বেলাল হোসেন, শাহ্‌ আলম, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার কাজী জাহিদুল ইসলাম, অডিট ম্যানেজার পিয়াসুজ্জামান, শিল্প পুলিশের এএসপি মিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী

কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।

পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”

উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ