প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে দলটির এটি টানা দুই বিপিএলের ফাইনাল। কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চট্টগ্রাম কিংসকে হারিয়েছে তারা। 

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জিতে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম কিংস। টানা দুই জয়ে এলিমিনেটরে আসে খুলনা। সেখানেও জয় পায় দলটি। তবে কোয়ালিফায়ারে ইনিংসের শেষ বলে ৪ মেরে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শুরুবার বিপিএলের ফাইনাল মাঠে গড়াবে। ওই ম্যাচে বরিশাল ও চট্টগ্রাম মুখোমুখি হবে। বিপিএলের গ্রুপ পর্ব এবং কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটরে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মাঠে গড়িয়েছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারও হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায়। 

তবে বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ রাখা হয়েছে সন্ধ্যা সাতটায়। টিভিতে বিপিএল ফাইনাল দেখা যাবে টি-স্পোর্টসে। স্টেডিয়ামে বসে ফাইনাল দেখতে অনলাইন, মধুমতি ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা ও অল্প কিছু সংখ্যক টিকিট পাওয়া যাবে মিরপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বুথে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলি

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টানা চতুর্থ রাতের মতো ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গুলিতে ২৬ পর্যটক নিহতের ঘটনায় পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশকেও পানি দেওয়া বন্ধের দাবি বিজেপির

চরম উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানি সেনারা নিয়মিতভাবেই নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। গতকাল সোমবার রাতেও পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষ থেকে ‘ছোট অস্ত্রের উসকানিমূলক গুলিবর্ষণের’ ঘটনা ঘটেছে।

এ নিয়ে টানা চার রাত ধরে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। 

ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “২৭-২৮ এপ্রিল রাতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পোস্টগুলো কুপওয়ারা এবং পুঞ্চ জেলার বিপরীতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে। আমাদের সেনারা যথাযথভাবে এর জবাব দিয়েছে।”

গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় ভয়াবহ সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই ঘটনায় পাকিস্তানকে পরোক্ষভাবে দায়ী করে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে সমর্থন করছে ইসলামাবাদ।

এর জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে নয়াদিল্লি। পাশাপাশি পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ এবং ভারতীয় বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকলেও মাঝেমধ্যেই সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে থাকে। কাশ্মীর অঞ্চলটি দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ