অস্ত্রসহ নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আবু সাদাত মো. সায়েমকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা-পুলিশ। তিনি পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মৃত নুরুল আনোয়ারের ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থেকে পটিয়া থানা-পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ইলিয়াছ খাঁর বাড়ি এলাকায় পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে একটি দেশে তৈরি এলজি উদ্ধার করা হয়। গত ৪ আগস্ট পটিয়ায় মাদ্রাসা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে তাঁর নেতৃত্বে হামলার করা হয় বলে অভিযোগ আছে।

পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো.

নাজমুন নুর বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যার চেষ্টাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার তাঁকে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহসহ বিভিন্নস্থানে শেখ মুজিবুরের ম্যুরাল ভাঙচুর, ভৈরবে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর

ময়মনসিংহ নগরের সার্কিট হাউস মাঠসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর শুরু করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। আজ রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতুড়ি-শাবল নিয়ে ম্যুরাল ভাঙচুর শুরু হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলী হোসেন, জেলা কমিটির মুখপাত্র ফয়সাল ফারনিম, মহানগর কমিটির সদস্যসচিব আল নুর মো. আয়াস, মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাফিউস রোহানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলী হোসেন বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পরও আবার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এ অপতৎপরতা দেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। তারই প্রতীক স্বরূপ ধানমন্ডির-৩২ নম্বরের মতো ময়মনসিংহেও স্বৈরাচারের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুরের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে ছাত্র-জনতা।’

অপরদিকে ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু হলের ‘মুজিব ম্যুরাল’। রাত ১১টার দিকে ভাঙচুর শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে থাকা শেখ মুজিবুর রহমান ও ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বুধবার রাতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ