মিনহাজ হত্যার আসামিদের জুতা নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি
Published: 5th, February 2025 GMT
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দনিয়া কলেজের ছাত্র মিনহাজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা পুলিশ প্রটোকলের মধ্যে ঢুকে আসামিদের জুতা পেটা করে, কিল-ঘুষি মারে ও জুতা নিক্ষেপ করে।
এদিন সাত আসামির রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য ছিল। সকাল থেকে মিনহাজের স্বজন, সহপাঠীরা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে। ঢাকার সিএমএম আদালতের সামনে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে তারা। তারা মিনহাজের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি জানান। এ সময় মিনহাজের বাবা, মা, স্ত্রী ভাই উপস্থিত ছিলেন।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে আসামিদের এজলাসে তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আসামিদের মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া পরানো হয়।
তখনও মিনহাজের সহপাঠীরা বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি বুঝে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিলেন। এভাবে প্রায় ৩০ মিনিট কেটে যায়। ৩টা ৮ মিনিটের দিকে হাজতখানা থেকে আসামিদের বের করে সিএমএম আদালতের দ্বিতীয় তলায় নেওয়া হচ্ছিল। আদালতের ঠিক সামনে আসা মাত্র সেখানে অবস্থান নেওয়া নিহতের সহপাঠীরা আসামিদের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা কিল-ঘুষি মারে ও জুতা নিক্ষেপ করে। জুতা দিয়ে পেটাতেও দেখা যায়। তখন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের বাধা দেন। দ্রুত তাদের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল ১১৭ বার
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবারও আদালতে জমা পড়েনি। এ নিয়ে এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৭ বার পেছানো হলো।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিন ছিল। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে আজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।
আগামী ২১ মে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ঠিক করেছেন ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম।
এক যুগ পর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৪ নভেম্বর মামলার আগের তদন্ত সংস্থা র্যাবের কাছ থেকে মামলার নথিপত্র বুঝে নিয়েছে পিবিআই। সংস্থাটি এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘র্যাবের কাছ থেকে মামলাসংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র বুঝে পেয়েছি। তদন্তকাজ নতুন করে শুরু করেছি।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র্যাব।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে র্যাব আদালতকে জানিয়েছিল, সাগর-রুনির বাসা থেকে জব্দ করা আলামতের ডিএনএ পর্যালোচনায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই পুরুষের উপস্থিতি মিলেছে। অজ্ঞাতপরিচয় দুই পুরুষকে শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিসেস (আইএফএস) ল্যাবে ডিএনএ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছবি প্রস্তুতির চেষ্টা চলছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফল জেনেছে র্যাব। তবে অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের ডিএনএ থেকে ছবি তৈরির সন্তোষজনক ফল আসেনি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দুজন জামিনে, বাকি ছয়জন কারাগারে।
৩০ সেপ্টেম্বর সাগর ও রুনি হত্যা মামলার তদন্তে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।