নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ‘নিউরোমাস্কুলার ডিজিজ ট্রিটমেন্ট সেন্টার’ অনুষ্ঠিত
Published: 5th, February 2025 GMT
‘নিউরোমাসকুলার ডিজিজ ট্রিটমেন্ট সেন্টার’ বা ‘এসএমএ ক্লিনিক’ বিরল এসএমএ রোগের চিকিৎসায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে দ্বিতীয়বারের মতো এই বিশেষ ক্লিনিকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিরল রোগে আক্রান্ত রোগীদের কল্যাণে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম এই বিশেষ ক্লিনিকটির যাত্রা শুরু হয়।
এসএমএ ক্লিনিক বলতে বুঝায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা এক ছাতার নিচে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা। এসএমএ রোগের চিকিৎসায় মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচ প্রয়োজন হয়। তেমনি প্রয়োজনীয় প্রায় সব ডিসিপ্লিনের চিকিৎসাসেবাকে এক ছাতায় এনে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে আয়োজন করা হয় এই ‘নিউরোমাস্কুলার ডিজিজ ট্রিটমেন্ট সেন্টার’ নামের একটি বিশেষ এসএমএ ক্লিনিকের।
এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত এসএমএসহ মোট ২০ জন জেনেটিক রোগে আক্রান্ত রোগী বিনামূল্যে সেবা গ্রহণ করেন। ক্লিনিকে চিকিৎসকদের পরামর্শের পাশাপাশি থেরাপি, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় ডিভাইসের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়।
এসএমএ বা স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি একটি দুরারোগ্য বিরল রোগ। পেশির সঞ্চালনকে নিয়ন্ত্রণ করে যে মোটর নিউরোন, তা নষ্ট হওয়াই জিনঘটিত এই বিরল রোগের কারণ। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী, টাইপ ওয়ান থেকে টাইপ ফোর পর্যন্ত হয় এসএমএ। এর ওষুধ বাজারে এলেও তা সাধারণের কেনা সাধ্যাতীত। পৃথিবীর অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও এই রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। তবে সচেতনতার অভাবে এই রোগে আক্রান্তদের একটি বড় অংশ টেস্ট এবং চিকিৎসায় আওতায় আসছে না। ফলে চিকিৎসার অভাবেই দেশে অসংখ্য শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে।
পরে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফাইনালে আম্পায়ার থাকছেন যারা
ভারত-নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালে দিয়ে রবিবার (৯ মার্চ, ২০২৫) পর্দা নামতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের জন্য চার আম্পায়ারের ও এক ম্যাচ রেফারির তালিকা ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে অন ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকছেন না উপমাদেশের কেউ।
ভারত এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে পৌঁছেছে। এর আগে ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে তারা ফাইনালে খেলেছিল তারা। তারা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দুটি দলের একটি। ভারত ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে শিরোপা জিতেছিল এবং ২০১৩ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলে।
আরো পড়ুন:
ম্যাচ ডে’তে রোজা না রাখায় সমালোচিত শামি
ফাইনালে যে পাঁচ বিষয়ে চোখ থাকবে
অন্যদিকে নিউ জিল্যান্ডের একমাত্র শিরোপা ২০০০ সালে এসেছিল। নাইরোবিতে সেই ফাইনালে তারা ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারার পর, এটি তাদের তৃতীয় ফাইনাল।
এই ধরনের সফল দুটি দলের মধ্যকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচের জন আইসিসি উপমহাদেশের বাইরের দুজনকে আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। একজন অস্ট্রেলিয়ার পল রাইফেল, অন্যজন ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ।
বাকি তিন ম্যাচ অফিশায়ালের দুজন অবশ্য উপমহাদেশের। চতুর্থ আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকছেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ সদস্য রঞ্জন মাদুগালে। দুজনই শ্রীলঙ্কার। জোয়েল উইলসন তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন।
চলমান আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালটিতেও রাইফেল দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অন্যদিকে ইলিংওয়ার্থ দুবাইতে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার শেষ চারের ম্যাচটি পরিচালনা করেছিলেন। চারবারের আইসিসি আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার শিরোপা বিজয়ী ইলিংওয়ার্থ ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও আম্পায়ার ছিলেন।
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের ম্যাচ কর্মকর্তাদের পূর্ণ তালিকা:
অন-ফিল্ড আম্পায়ার: পল রেইফেল ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ
তৃতীয় আম্পায়ার: জোয়েল উইলসন
চতুর্থ আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা
ম্যাচ রেফেরি: রঞ্জন মাদুগালে
ঢাকা/নাভিদ