বন্দরে গনমাধ্যমকর্মী  মাসুম বিল্লাহ পৈত্রিক সম্পত্তী স্থাপনকৃত  আরগারা ভেঙ্গে ও সিমেন্টের খাম লুট করার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ। বুধবার লৌমহর্ষক  ঘটনার ১৬ দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ গনমাধ্যমকর্মী মামলা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করছে।

এদিকে পুলিশ গনমাধ্যমকর্মী  মামলা না নিয়ে উল্টো  তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার কারনে  ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও তার ছেলে মেয়েসহ  পরিবারের সদস্যরা ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে গনমাধ্যমকর্মী মাসুম বিল্লাহ আরো জানান,  দেশে এখন কোন রাজনৈতিক সরকার নেই অথচ তারপরও আমরা আইনের সহযোগিতা পাচ্ছি না।

মীরকুন্ডী এলাকার মোক্তার মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তারের কুরামর্শে কুশিয়ারা এলাকার মানিক চাঁন মিয়ার ছেলে  ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মুন্না ও লম্বাদরদী এলাকার মৃত খোরশেদ আলম মিয়ার ছেলে সোহেল বাবুসহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী রাতের আধারে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আরগাড়া ও সিমেন্টের খাম লুট করে নিয়ে গেল অথচ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালণ করছে।

প্রশাসনের গুরুত্ব না থাকায় ভূমিদৎসুরা আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের উচ্চ মহলসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া উচিত। নইলে এই পরিস্থিতিতে আমরা কোথায় যাবো।

ঘটনার বর্ননা দিয়ে গনমাধ্যমকর্মী স্ত্রী আরো জানান, বন্দর উপজেলা লম্বাদরদী এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার  ছেলে গণমাধ্যম কর্মী মাসুম বিল্লাহ  পৈত্রিক সম্পত্তির মোট ১৯ শতাংশের মধ্যে  ০৩ শতাংশ জায়গার ভোগদখলে আছে। সে সাথে তার ৬ ভাইয়ের মধ্যে ৪ ভাইয়ের ২.

২০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে মাসুম বিল্লাহ খরিদ সূত্রে মালিক হয়।

এর সূত্রধরে মীরকুন্ডী এলাকার মোক্তার মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তারের কুরামর্শে কুশিয়ারা এলাকার মানিক চাঁন মিয়ার ছেলে  ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মুন্না ও লম্বাদরদী এলাকার মৃত খোরশেদ আলম মিয়ার ছেলে সোহেল বাবু গনমাধ্যম কর্মী মাসুম বিল্লাহ নিকট থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করে।

 বিবাদী গণমাধ্যম কর্মী পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে ব্যার্থ হয়ে বিবাদী মুন্না ও সোহেল বাবু উল্লেখিত সাংবাদিকের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এর জের ধরে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায়  প্রতিপক্ষ শারমিন বেগমের হুকুমে সন্ত্রাসী হাসেম, সজিব, মুন্না ও সোহেল বাবুসহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গণমাধ্যম কর্মী পৈত্রিক সম্পত্তিতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে আড়গাড়া ভেঙ্গে ও ১৬টি সিমেন্টের খাম পিকআপে তুলে নিয়ে গিয়ে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র ম

এছাড়াও পড়ুন:

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

আপনার কিডনি কি ঠিক আছে?  তাড়াতাড়ি শনাক্ত করুন, কিডনিস্বাস্থ্য রক্ষা করুন। এবার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে বিশ্ব কিডনি দিবস। কিডনি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। দুটি কিডনি অনবরত মানবদেহের ছাঁকন যন্ত্র হিসেবে মূত্রের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ নিষ্কাশন করছে। মানবদেহে পানি ও অম্ল-ক্ষারের সমতা রক্ষা করা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিডনির ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কিডনির অনেক ধরনের অসুখ হতে পারে। তবে কিডনি বিকল হওয়ার সঙ্গে আমরা সবচেয়ে বেশি পরিচিত। কখনও খুব দ্রুতগতিতে কিডনি বিকল হতে পারে, আবার কখনও ধীরগতিতে। ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, অতিরিক্ত শারীরিক কসরৎ, শারীরিক আঘাত, ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় অতি দ্রুত কিডনি বিকল হতে পারে। মানবদেহে রেচনতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। কিডনির প্রধান কাজ হলো রক্তে থাকা দূষিত পদার্থ ছেঁকে বের করা। এ ছাড়াও কিডনি রক্তে লবণ এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করে, ক্যালসিয়াম শোষণেও সহায়তা করে। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষতি করে। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে নানা রকম শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি হয়।
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির নিজস্ব রোগ, জন্মগত ত্রুটি, হৃদরোগ, স্ট্রোক, রক্তনালির ব্যাধি, বেদনানাশক ওষুধসহ কিছু ওষুধের যথেচ্ছ সেবন এবং কতিপয় বাত রোগের কারণে ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হয়ে যায়। 
কিডনি সুস্থ রাখার জন্য যে বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে হবে সেগুলো হলো–
l নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরকে সক্রিয় রাখা: পরিমিত পরিমাণ শরীরচর্চা কিডনির সুস্থতার জন্য জরুরি। তবে গরমের মাঝে অতিরিক্ত শরীরচর্চা ক্ষেত্র বিশেষে কিডনির ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। 
l রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাগে রাখা: প্রতি তিনজন ডায়াবেটিক রোগীর একজন কিডনিসংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হন। সারা বিশ্বে কিডনি বিকল হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস। সেজন্য নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা তদারকি করা এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
l রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা: প্রতি পাঁচজন উচ্চ রক্তচাপের রোগীর মাঝে একজন কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হন। এজন্য যাপিত জীবনে পরিবর্তনের পাশাপাশি ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
lওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন কিডনির ওপরও চাপ প্রয়োগ করে। অতিরিক্ত ওজন থেকেই হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ কোলেস্টেরল। 
l সুষম খাদ্য গ্রহণ: সুস্থ জীবনের জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। 
l পর্যাপ্ত পানি পান: কিডনি সুস্থতার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি গ্রহণ করতে হবে। পানি শূন্যতা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বিশেষত ডায়রিয়া, বমি, অতিরিক্ত ঘাম এবং শরীরচর্চার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
l.ধূমপান পরিহার করা: ধূমপান শরীরের প্রতিটি অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর।  কিডনি ও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়।
l বেদনানাশক ওষুধসহ অন্যান্য ওষুধ সেবনে সাবধানতা: বেশ কিছু ওষুধকে বলা হয় নেফ্রো টক্সিক। অর্থাৎ এগুলো কিডনির জন্য ক্ষতিকর। ব্যথা-বেদনানাশক ওষুধের মাঝে অন্যতম। 
lলবণ পরিমাণমতো গ্রহণ: অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সেজন্য মনে রাখতে হবে ভাতের পাতে লবণ নয়। যেসব খাদ্যে লবণ বেশি সেগুলো পরিহার করতে হবে। 
lনিয়মিত কিডনি পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিতে হবে কিডনি কেমন আছে। v

[মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট সিএমএইচ, বরিশাল]
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ