চাঁদা না দেয়ায় বন্দরে আকিজ সিমেন্ট কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত
Published: 5th, February 2025 GMT
বন্দরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় আকিজ সিমেন্ট কোম্পানির একটা কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করেছে আমজাদ বাহিনী। গত ৩রা ফেব্রুয়ারি রাতে একরামপুর আকবর হোটেলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় কোম্পানির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাদী বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বন্দর থানায় এ চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৮(২)২৫।
জানা গেছে, নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড কদমরসুল এলাকায় ২ শ ৩৮দিন আগে আকিজ সিমেন্ট কোম্পানি কিছু জমি বায়না করে নির্মাণ কাজ করছিল। তার পর থেকে কদমরসুল এলাকার আমজাদ তার দলবল নিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল।
এসময় দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। গত ৩রা ফেব্রুয়ারি রাতে আব্দুল মালেক কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে একরামপুর আকবর হোটেলের সামনে পৌঁছালে আমজাদ ও তার লোকজন হামলা চালায়।
এসময় তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রেয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শাপলার মেডিকেল কলেজে ভর্তির দায়িত্ব নিলেন ইউএনও
দরিদ্রতা জয় করে শিশুকালে মা হারানো ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের নিকড়হাটা গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী শাপলা খাতুন নীলফামারী মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। এসময় ঈশ্বরদীর আরেক কৃতি শিক্ষার্থী সামিন ইয়াসির সামি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় তাকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সুহৃদরা।
সোমবার সকালে সাপ্তাহিক ঈশ্বরদীর কার্যালয়ে শাপলার হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা ও তার মেডিকেলে ভর্তির জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
এদিকে ‘মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত শাপলার’ শিরোনামে সমকাল অনলাইনে গত শুক্রবার এবং ‘মায়ের মৃত্যুতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন, বাধা অর্থ’ শিরোনামে গতকাল সোমবার সমকালে প্রতিবেদন দেখে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ শাপলার ভর্তির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সমকাল সুহৃদরা শাপলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে অবহিত করলে তার বাবা শফিকুল ইসলাম সম্মত হন। তাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শাপলাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও তার ভর্তির বিষয়ে সমন্বয় করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সুহৃদরা শাপলাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তার পারিবারিক অবস্থার কথা তুলে ধরলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ শাপলার হাতে মেডিকেলে ভর্তির জন্য সমুদয় অর্থ ও ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তার ভর্তি ছাড়াও পড়ালেখা কালীন বিভিন্ন প্রয়োজনে তাকে সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এসময় শাপলার বাবা অটো ইজিবাইক চালক শফিকুল ইসলাম, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু, সমকালের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি সেলিম সরদার, সুহৃদ উপদেষ্টা আফছার আলী, মনিরুল ইসলাম বাবু, আব্দুস সামাদ, প্রধান শিক্ষক গোলাম রসুল, সিরাজুল ইসলাম, সুহৃদ ঈশ্বরদী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, দুর্জয় ইসলাম লিমন, হাসান চৌধুরী, ফিরোজ আহমেদ, রাকিবুল ইসলাম রূপম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।