আমি আজ চাকরি ছাড়লে কালই নির্বাচন করতে পারব
Published: 5th, February 2025 GMT
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি আজ চাকরি ছাড়লে কালই নির্বাচন করতে পারব, বিএনপির সবচেয়ে বড় বড় নেতার সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে।”
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভিডিওতে এসপি উত্তেজিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতা এম এস মাসুম আহমদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে মাসুম আহমদকে গলা ধরে বের করে দিতে বলেন এসপি আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান।
আরো পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে জাবেদ আবছার গ্রেপ্তার
যশোরে আ.
এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় পৌর শহরের হোসেন বখত চত্বরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। তারা এসপির এমন বক্তব্য ও আচরণের তীব্র নিন্দা জানান। একইসঙ্গে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদের নেতা এম এস মাসুম আহমদ বলেন, “২০২৩ সালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এই ঘটনার মামলার বিষয়ে কথা বলতে গেলে পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।”
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান বলেন, “ছেলেটা আমার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। তাও চেয়েছিলাম শান্ত থাকাতে, হয়তো পূর্নাঙ্গ ভিডিও দেখলে বিষয়টি বুঝতে পারতেন।”
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নবীগঞ্জে বালু উত্তোলন ঘিরে সংঘর্ষ, মামলার এজাহার নিয়ে বিভ্রান্তি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে এবং পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মামলায় সংঘর্ষের মূল ঘটনাস্থল পরিবর্তন করে মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর দেখানো হয়েছে, যা এলাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত যুবলীগ নেতা এমরান আলী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি আহমদ মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
তবে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনাটি মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর নতুনবস্তি মসজিদের পাশে ঘটেছে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, মূলত সংঘর্ষ হয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর ও বনগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায়। ঘটনায় আসামি পক্ষের লোকজন মামলার স্থান পরিবর্তন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদ বলেন, এক জেলায় সংঘটিত ঘটনা অন্য জেলায় দেখানোয় আমরা মর্মাহত। এটি সাজানো মামলা। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মামলার আসামি হেলাল আহমদ বলেন, আমরা শেরপুরে কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। বাদী পক্ষের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আমাদের হয়রানি করছে। আমরা সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে মামলার বাদী এমরান আলী দাবি করেছেন, তাকে প্রথমে নবীগঞ্জ থানার বনগাঁও ও পাহাড়পুর এলাকায় মারধর করা হয় এবং পরে শেরপুর এলাকায় আবারও হামলা হয়। তাই তিনি শেরপুরের ঘটনায় মামলা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিপু কুমার দাশ বলেন, বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিবর্তন করা হয়ে থাকলে তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, বালু মহাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে। কেউ উত্তেজনার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।