সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব ও হুমকিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। এছাড়া বাণিজ্যিক মিত্রদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ নিয়েও মন্তব্য করেছেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় এক রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “কোনো দেশ, যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক, সবসময় পুরো বিশ্বের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।” গাজাবাসীকে অন্যত্র সরানোর ব্যাপারে লুলা বলেন, “এটির কোনো মানে নেই। ফিলিস্তিনিরা কোথায় বাস করবে। এটি এমন একটি বিষয় যা কোনো মানবজাতির কাছে বোধগম্য নয়।” ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “গাজার দেখভালো করতে হবে ফিলিস্তিনিদের।”

এছাড়া গাজায় দখলদার ইসরায়েলি সেনারা যে বর্বরতা চালিয়েছে, সেটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর পানামা খাল, ডেনমার্কের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি দেন। সর্বশেষ তিনি গাজা দখলের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ এক মাস স্থগিত করেছেন তিনি।

শুল্ক আরোপের ব্যাপারে ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের প্রয়োজন আছে। ব্রাজিল, মেক্সিকো, চীনের সঙ্গে সৌহার্য্যপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে তাদের বাস করা উচিত। কেউ হুমকি ধামকির মধ্যে সবসময় থাকতে পারে না। সব সময় (যুক্তরাষ্ট্র) হুমকি দিচ্ছে।”

এদিকে ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার আগেই হুমকি দিয়েছিলেন ব্রিকস সদস্যভুক্ত দেশগুলো যদি নিজস্ব মুদ্রা চালু করে তাহলে তাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। ট্রাম্পের এ হুমকি প্রত্যাখ্যান করে ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেন, “বাণিজ্যিক উপায় নিয়ে আলোচনা করার অধিকার আমাদের আছে। যেন আমাদের ডলারের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করতে না হয়।”

সূত্র: রয়টার্স

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প কর ছ ন র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ভাষা, সংস্কৃতি, স্বকীয়তা এবং মর্যাদা রক্ষার লড়াই

ফেব্রুয়ারি মাসেই স্বাধীনতার বীজ বোনা হয়েছিল রক্তস্নাত চেতনার ভূমিতে। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতি তার সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও জাতীয় আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল। এটি ছিল বাঙালি জাতির এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি, স্বকীয়তা এবং মর্যাদাকে রক্ষা করার পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। এই আন্দোলন বাঙালির মধ্যে একতার শক্তি এবং জাতীয় চেতনা জাগিয়ে তোলে, যা পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি রচনা করেছিল। 
মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ বাঙালি হৃদয়ে অনুরণিত হয়েছে সবসময়। এ ভাষার আড়ালে যে হারানোর বেদনা, তা প্রতিটি লেখকসত্তাকে প্রতিনিয়ত তাড়িত করেছে। ভাষা আন্দোলনকে উপজীব্য করে সাহিত্যের একটি ব্যাপক পরিসর গড়ে উঠেছে। একুশের কাহিনি আবেগে অমোঘ, বিশ্বাসে অনন্য। 
আমাদের জীবনে একুশের অনির্বাণ চেতনা চিরজাগ্রত রাখতে একুশ সম্পর্কিত পাঠ ও গবেষণা চালু রাখা জরুরি। অমর একুশ নিয়ে অজস্র গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও সাহিত্য রচিত হয়েছে। আজ আমার দৃষ্টিনিবদ্ধ হয়েছে এম আর আখতার মুকুলের ‘একুশের দলিল’ বইটির দিকে। ভাষা আন্দোলনে লেখকের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নিজ অভিজ্ঞতার বয়ান বইটিকে দালিলিক মর্যাদা দিয়েছে। ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন দিক, তৎকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন যে কেবল একটি রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না বরং এটি জাতির সাংস্কৃতিক ও মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন ছিল, তা বইতে বেশ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি কীভাবে সারাবিশ্বে ভাষার অধিকারের সংগ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়। ভাষার ওপর আঘাত এলে শুধু ভাষাগত নয়, তা একটি জাতির অস্তিত্ব ও আত্মসম্মানকে চ্যালেঞ্জ করার সমান। ‘একুশের দলিল’ ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য এবং ইতিহাসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই সময়কার সংগ্রামীদের আত্মত্যাগের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করেছে। প্রতিবাদের ভাষাও আমরা শিখি একুশ থেকে। একজন শিক্ষক হিসেবে তাই একুশের বহুল পাঠ ও এ সম্পর্কিত গবেষণার তাগিদ অনুভব করি সবসময়। একুশ বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকুক যুগ যুগ ধরে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসির অনুবাদক ছিলেন রোনালদো!
  •  সঙ্গীত জগতে এগিয়ে যাচ্ছেন এস এম মিঠু
  • ভাষা, সংস্কৃতি, স্বকীয়তা এবং মর্যাদা রক্ষার লড়াই