কারামুক্ত শ্রমিক দল নেতা শামীমকে ফুল দিয়ে বরণ
Published: 5th, February 2025 GMT
ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত ষড়যন্ত্র মূলক হত্যা মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ায় সদর থানা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম শামীমকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ নং-বি-১৭২৪ এর কার্যালয়ে কারা মুক্ত শামীমকে বরণ করা হয়। পাশা-পাশি নারায়ণগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে ফুলের শুভেচ্ছা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু, যুগ্ন সম্পাদক জুবায়ের জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন রবি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ হাওলাদার প্রমুখ।
ফেডারেশন সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন রবি বলেন, সদ্য কারা মুক্ত তাইজুল ইসলাম শামীম সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা শামীমকে শুভ কামনা জানাই এবং কারা মুক্ত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। আমরা শ্রমিক নেতাদের যে কোন মুক্তিতেই আলোকিত। আমাদের ফেডারেশনের সফলতাই ঐখানে। শ্রমিক নেতারা সাধারণ জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের সেবায় ব্যস্ত থাকবে এটাই আমাদের মূল লক্ষ।
ট্রাক ইস্ট্যান দখলে ব্যর্থ হয়ে শামীমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় এ নেতা আরোও বলেন, পক্ষ-বিপক্ষের লোক থাকবেই এইটা আমরা তেমন গুরুত্ব দেইনা। বিশেষ করে আমাদের শ্রমিকরা নির্বাচনের মাধ্যমে যাকে চাইবে তারা তাকেই রাখবে। আইনগত বিধি ছাড়া দখলের কোন সুযোগ নাই। আমরা সকল দখলদারিত্বের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি।
কারা মুক্ত তাইজুল ইসলাম শামীম বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে আবু আল ইউসুফ খান টিপু আমাকে প্রায় ২ মাস জেল খাটিয়েছে। এধরণের মামলাগুলা স্টে করা হয়। এড.
সুজন মাহমুদ বলেন, তাইজুল ইসলাম শামীম ষড়যন্ত্রের শিকাড় হয়ে গত ২ মাস কারাগারে ছিলো। আজ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা শামীমকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। আবু আল ইউসুফ টিপু, শামীম এর কাছে ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে না পাওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা ফেডারেশনকেও অবগত করেছি। এবিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দগণকেও জানাব এবং সর্বচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান করব। বিএনপির নেতা হয়ে আরেক বিএনপির নেতাকে কি ভাবে এ ধরণের মামলা দেওয়া হয়। একটি সুন্দর কমিটি গঠন যেন হয় সে প্রত্যাশা করছি। এছাড়া আওয়ামী দোসররা যেন কমিটিতে না থাকে। আপনারা দেখেছেন শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা আজমেরী ওসমানের প্রেতাত্মারা বিগত সময় ট্রাক ইস্ট্যান দখল করে লুট-পাট করে খেয়েছে তাদের দিয়ে কমিটি করার জন্য বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য নিল নকশা করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম শামীম, মহানগর বিএনপি সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন যুগ্গ আহ্বায়ক সুজন মাহমুদ, শ্রমিক ইউনিয়ন এর যুগ্ন আহ্বায়ক মেহেদী হাসান লিটন, সদস্য মোঃ রফিক, মোঃ হারুন, মো: আবুল কালাম, মোঃ ছাত্তার, মোঃ মন্টু প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ৯ জন আটক
মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে জেলা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়কসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি মাদক পাওয়া গেছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাগুরা পৌরসভার পারলা এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন মাগুরা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ফরিদ হাসান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রেজা, শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা নূহু দারুল হুদা, ভায়না এলাকার কাজী আরিফুল হক, আবালপুর গ্রামের আবদুল জলিল, শ্রীপুর উপজেলার বাখেরা গ্রামের আইনুল হোসাইন, শাহীন শেখ, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইলিয়াছ খান ও ঢাকার আদাবর এলাকার সৈয়দ খায়রুল আলম।
মাগুরা সেনা ক্যাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, পৌরসভার পারলা এলাকায় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছেন। গতকাল রাতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১টি চায়নিজ পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি একনলা বন্দুক, ৪টি গুলি, ১টি এয়ার গান, এয়ারগানের ২৬৪টি গুলি, ২টি চায়নিজ কুড়াল, ৬টি চাপাতি, ২ বোতল মদ, ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও ১১টি মুঠোফোন ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়।
তবে এ অভিযানকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন আটক হওয়া ফরিদ হাসান খানের ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান খান। তিনি আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইসহ যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মাগুরার বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার রয়েছেন। তাঁরা আমাদের ব্যবসায়িক অংশীদার। অভিযানে যে টাকা উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেটা আমাদের ব্যবসায়িক টাকা। যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো ওখানে ছিল না। ওখানে আমাদের ১৬ একর জমির ওপর ফার্ম, যে দেশি অস্ত্রের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো ওই ফার্মের পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়। এমন ষড়যন্ত্রমূলক কাজের জন্য সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।’
জানতে চাইলে মাগুরা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাফিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফরিদ হাসান খানের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বেশ কিছু অভিযোগ ছিল। ওই সব অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অস্ত্র, মাদকসহ তাঁর সহযোগীদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, সকালে আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।