খুনি হাসিনার বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই : সজল
Published: 5th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, ফ্যাসিবাদী দোসররা যারা বাংলাদেশে আছে আর তাদের নেত্রী পার্শ্ববর্তী দেশে বসে বাংলাদেশের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করা নির্দেশ দিচ্ছে। আমরা এই নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এই ফ্যাসিবাদী খুনি শেখ হাসিনা বিগত সাড়ে ১৬টি বছরে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। গত আগস্টে মাসে বিএনপির ৪৮৩ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। সেই খুনি হাসিনার বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই ।
দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের ১১ নং ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের ১১নং ওয়ার্ডের এমন সার্কেসের এসিআই'র সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি এম সার্কেস থেকে শুরু করে হাজীগঞ্জ মোড় হয়ে সরদার পাড়া রোড় দিয়ে ১২নং ওয়ার্ডের খানপুর রেললাইন বৌবাজার হয়ে ডনচেম্বার দিয়ে মিশপাড়া এসে শেষ হয়।
তিনি আরও বলেন, খুনি শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের দোসর যারা নারায়ণগঞ্জের মাটিতে প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে তাদেরকে রাজপথে কোন কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না। এই হত্যার রক্ত কিন্তু বিধা যেতে পারে না।
আমার ভাই আমার বোনের রক্ত বিধা যেতে পারে না। কারণ তাদের হাতে রক্তের দাগ তারা নারায়ণগঞ্জের মানুষকে হত্যা করেছে। সেই খুনিদের কিন্তু আমরা ক্ষমা করতে পারি না। ফ্যাসিবাদী দোসরদেরকে আগামী দিনে আমরা যেকোনো মূল্যে তাদের সকল অপকর্মকে আমরা রাজপথে প্রতিহত করব।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত য বদল ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ নগর ব এনপ র ব এনপ র স ল ইসল ম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা উপেক্ষিত
মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজেনারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো লিখিত নির্দেশ মানছেন না মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নুসরত রেবেকা। সরকারি প্রজ্ঞাপনে আদেশ থাকা সত্ত্বেও সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের সরকারি বেতন-ভাতা প্রদান করছে না।
ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিন শতাধিক শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
জানাগেছে, গত ২৩ এপ্রিল বুধবার তিন শতাধিক শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা মহোদয়ের সাথে দেখা করে মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও বেআইনি কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
এসময়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় সকল শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং বলেন কি কি অনিয়ম ও বেআইনি কর্মকান্ড হচ্ছে আপনারা লিখিতভাবে আমাকে দেন। আমি সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি আরও বলেন, কারো বেতন ভাতা বন্ধ করা আমার কাজ নয়, যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপন রয়েছে বেতন ভাতা প্রদানের জন্য এবং তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছে তাহলে অবশ্যই লায়লা আক্তারসহ সকলের বেতন ভাতা প্রদান করা হবে।
এবিষয়ে শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বলেন, মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তার বিদ্যালয়ে না থাকায় বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ে পাঠদানে ব্যাপক বেগার্ড করছে। এমনকি শিক্ষকরাও দলাদলি এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তারা আরও বলেন, যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপন রয়েছে বেতন ভাতা চালু ও স্বপদে বহাল করার এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন । তদন্ত কমিটি সম্পূর্ন নির্দোষ ও বেতন ভাতা প্রদানের সুপারিশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয় হতে জেলা প্রশাসক মহোদয় বেতন ভাতা প্রদানের লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অদ্যবধি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরত রেবেকা এখন পর্যন্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের বেতন-ভাতা প্রদান করছেন না। তাই লায়লা আক্তারকে অবিলম্বে স্বপদে বহাল ও বেতন ভাতা চালু করতে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অনুরোধ করেন।
তবে এবিষয়ে জানতে মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নুসরত রেবেকা বলেন, সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য।
সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কোন কিছু লেখা নাই। আর জেলা প্রশাসকের প্রজ্ঞাপনে তো আমি তার বেতন দিতে পারি না। সরকারিভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিষয় প্রজ্ঞাপন আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তিনি তো পদত্যাগ করেছে। আর আমার তো বেতন দেয়ার কোন এখতিয়ার নাই। আমাদের সভাপতিসহ কমিটি লোকজন আছে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তারপরে তার বেতন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
অফিস আওয়ারে স্কুলে আসবেন আপনার সাথে কথা বলবো। ফোনে আপনার সাথে বেশি কথা বলব না।