সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কক্সবাজারের টেকনাফের একটি পাহাড় থেকে ৫ কাঠুরিয়াকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বাহার ছড়া ইউনিয়নের বাইন্যাপাড়া পাহাড় থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়ার বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মো.

হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মো. আবু (২০)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির জানান, লাকড়ি সংগ্রহ করতে গেলে অস্ত্রের মুখে ১৫ জনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে ১০ জনকে ছেড়ে দিলেও এখনো ৫ জন অপহরণকারীদের কাছে রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, মুক্তিপণের জন্য পাঁচজনকে আটক রেখেছে অপহরণকারীরা। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, বিষয়টি তিনি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে অবহিত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের স্বজন বা কারও পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তারপরও ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে এবং তাদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

মার্চে ১৬৩ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর

গত মার্চ মাসে ৪৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ১৬৩ জন নারী ও কন্যাধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর এসেছে। ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর সংকলন করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

আজ সোমবার মার্চ মাসের তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে দেখা গেছে ২৪৮ জন কন্যাশিশু (১৮ বছরের নিচে) এবং ১৯৪ জন নারী অর্থাৎ মোট ৪৪২ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন কন্যাসহ ১৬৩ জন। ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে ১৮ জন কন্যাশিশুসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ২ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ২ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ৫৫ জন কন্যাশিশুসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, মার্চ মাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১২ জন কন্যাশিশুসহ ১৬ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে ৬ জন কন্যাশিশু। বিভিন্ন কারণে ৯ জন কন্যাশিশুসহ ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ২ জনকে। ৯ জন কন্যাশিশুসহ ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২ জন কন্যাশিশুসহ ১৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নারী ও কন্যাশিশু পাচারের শিকার হয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে ১০ জন কন্যাশিশু। একজন নারী অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫ জন, এর মধ্যে ২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৭ জন, এর মধ্যে ২ জন কন্যাশিশু। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন নারী। ২ জন গৃহকর্মী (১৮ বছরের নিচে) হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে একটি। ৬ জন কন্যাশিশুসহ ৮ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া ২ জন কন্যাশিশুসহ ১১ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন। তিনজন নারী সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। বাল্যবিবাহের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে তিনটি। এ ছাড়া ৪ কন্যাশিশুসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সখ্য গড়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার মা–মেয়ে
  • লামায় ৯ তামাক চাষিকে অপহরণ 
  • বান্দরবানের লামার তামাকখেত থেকে আট শ্রমিককে অপহরণ
  • ‘তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ’ দিয়ে ফিরলেন অপহরণের শিকার চাচা–ভাতিজা
  • সাগর থেকে ১১ মাঝিমাল্লাসহ দুটি মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
  • আবারো ট্রলারসহ ১১ জেলে অপহরণ
  • মার্চে ৪৪২ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার: মহিলা পরিষদ
  • বান্দরবানে ৯ জনকে অপহরণ
  • মার্চে ১৬৩ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর
  • টেকনাফে অপহৃত দুজনকে উদ্ধার করা যায়নি, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি