বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নির্বাচিত হওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীদল, জেলা কৃষক দল, ফতুল্লা থানা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন, সোনারগাঁও পৌর বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন ও আড়াইহাজার থানা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ফুলের এ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

এ সময় মামুন মাহমুদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতন হলেও আমাদের নেতা তারেক রহমান এখনো দেশে ফিরে আসতে পারেননি। আমরা ১৫ বছর ধরে জনগনের ভোটের অধিকার আদায়ের লড়াই করছি। এই আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন, গুম হয়েছেন, কারা নির্যাতিত হয়েছেন, অনেকে বাড়িঘর ছাড়া ছিলেন। 

শীতের দিনে অনেকে ফ্লোরে ঘুমিয়েছেন। নিজের স্বার্থে নয়, দলের স্বার্থে, জনগনের স্বার্থে এই আন্দোলন করেছেন। যে ভোটের অধিকারের জন্য এতো জীবন দিতে হলো, সে ভোটের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। 

এখনো বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে, মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের ভোটের অধিকার ও আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলমান থাকবে। এই সরকারকে অবশ্যই নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ সবাই সতর্ক থাকবেন। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান একটা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এ কমিটি দিয়েছেন। আমাদের সবার দায়িত্ব দলকে শক্তিশালী করা। আমার সকলকে সাথে নিয়েই কাজ করতে চাই।   
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ও সহয গ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

মাফিয়াতন্ত্র এখন বিএনপির দখলে : রফিউর রাব্বি

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, শেখ হাসিনা সাড়ে এগারো বছর ত্বকী হত্যার বিচারের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছিলেন। বর্তমান সরকার পূনরায় কাজ শুরু করলেও তাতে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয় নাই।

অন্যদিকে ঘাতক ওসমান পরিবারের সকলে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার দায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বাহিনী এড়াতে পারে না। আমরা আগামী তিন মাসের মধ্যে ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান সহ সকল ঘাতকদের অভিযোগপত্রের আওতায় এনে একটি নির্ভুল অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করার দাবি জানাচ্ছি। 

তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৫ মাস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশে বিচার-ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে রেখে গেছে। তার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এখনো হয় নাই। শেখ হাসিনার সহযোগিতায় ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জে মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। সে মাফিয়াতন্ত্র এখনো বহাল রয়েছে। এখন তা বিএনপির দখলে।

বিএনপির লোকজন শামীম ওসমানের বহু লোকদের নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে। ওসমান পরিবারের ছত্রছায়ায় নীট কনসার্ন বিগত সরকারের সময়ে নারায়ণগঞ্জে লুটপাটের রাজত্বকায়েম করেছিল। এখন ওসমানদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে ফকির গ্রুপ।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরিবতর্কনের পরেও দেশে সকল ধর্মের, সকল মত ও পথের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাধা অপসারিত হয় নাই। 

দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম প্রশ্ন রেখে বলেন, ওসমার পরিবার পালিয়ে যায় কী ভাবে? শামীম ওসমানের নির্দেশে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের কাছ ত্বকী সহ সকর হত্যার বিচার চাই। 

সমাবেশে বক্তারা নারায়ণগঞ্জের আশিক, চঞ্চল, বুলু, মিঠু সহ ওসমান পরিবার দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যার বিচার দাবি করেন, সাংবাদিক সাগর-রুনী ও তনু হত্যার বিচার চান। 

সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দীপু, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ভবানী শংকর রায়, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শীবনাথ চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুর সুজন, বাসদ জেলা সংগঠক সেলিম মাহমুদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা সংগঠক শওকত আলী ও সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে জানায়, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৫ মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চারসেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে।

অচিরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবে। কিন্তু এর তিন মাস পর শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে ওসমান পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিলে বিচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সে অভিযোগপত্র আজো পেশ করা হয় নাই।

ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিরাপত্তা উপদেষ্টার নিয়োগ বাতিলের দাবি বিপ্লবী পরিষদের
  • নববর্ষের ঐতিহ্য রক্ষায় জাতীয় কবিতা পরিষদের পাঁচ দাবি
  • সার্ভার জটিলতায় রোগীদের আবেদনে ভোগান্তি
  • ভাসানচরকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে
  • নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত 
  • ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার মহানগর বিএনপির র‌্যালি
  • ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বৃহস্ মহানগর বিএনপির র‌্যালি
  • মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ৯ জন আটক
  • দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুরে ১০ মামলা, গ্রেপ্তার ৭২
  • মাফিয়াতন্ত্র এখন বিএনপির দখলে : রফিউর রাব্বি